নিজস্ব প্রতিবেদক : সানাইয়ের সুরে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে নিয়ম মেনে বিয়ে, উপহার, খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা আর অনাবিল আনন্দ। প্রতিবছরের মতো এবারও রবিবার সন্ধ্যায় বাগনান রথতলা ইউনাইটেডের উদ্যোগে গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান রথতলায় গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল।
রথতলা ফুটবল মাঠ সকাল থেকেই সেজে উঠেছিল। সকালে পাত্র-পাত্রীদের নিয়ে বাগনান শহরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। বিকেলের পর থেকেই হিন্দু, মুসলিম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাত্র-পাত্রীকে বিবাহ মন্ডপে নিয়ে আসা হয়। আনা হয় তাদের পরিবারের সদস্য-সদস্যাদেরও।
উদ্যোক্তারা জানান, এবার মোট ২০১ জন দম্পতি অর্থাৎ ৪০২ জন পাত্র-পাত্রী এই গণবিবাহ আসরের মাধ্যমে নতুন জীবন শুরু করলেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই আলোর রোশনাইয়ে সেজে ওঠে বিয়ের আসর। প্রত্যেকের নিজস্ব ধর্মীয় রীতি মেনেই দেওয়া হয় বিবাহ। শুধু বিয়ে দেওয়াই নয় সদ্য বিবাহিতদের বিভিন্ন উপহারও দেন উদ্যোক্তারা।
রবিবার রাতে গণবিবাহের আসরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তাঁরা পাত্র-পাত্রীদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন।
অভিনব এই বিয়ের আসর সম্পর্কে আয়োজক প্রেমাংশু রানা জানান, “আমাদের গণবিবাহের আসর এবার আট বছরে পদার্পণ করল। সমাজে এমন অনেক পরিবার আছে যাঁদের পক্ষে অনুষ্ঠান করে বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ সকলেরই সেই স্বপ্ন বা ইচ্ছে থাকে। তাঁদের মনের ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করতেই এই আয়োজন।”
বাগনান রথতলা ইউনাইটেডের এহেন সামাজিক প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।



