নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার হীরাপুর অঞ্চলে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে হীরাপুর অঞ্চলের কাঁজিয়াখাকি কর পাড়ার বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় নরেন্দ্র মোদির ছবি দেওয়া ফ্লেক্স সহ বেশ কিছু আসবাবপত্র। আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা আগুন নেভান।
বুধবার সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রমেশ সাঁধুখার নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ ও বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। তৃণমূল সমর্থকরা অবরোধ তুলতে গেলে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রমেশ সাঁধুখা বলেন, “তৃণমূল নেতাদের পায়ের নীচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই রাতের অন্ধকারে তৃনমূলের লোকজন আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, “স্থানীয় প্রধান ও উপপ্রধানের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” বুধবার রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে উলুবেড়িয়া স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রমেশ সাঁধুখা। যদিও হীরাপুর অঞ্চলের তৃনমূল সভাপতি উত্তম মাইতি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিজেপি শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এই ঘৃন্য চক্রান্ত করছে।”
তাঁর দাবি, “এই দলীয় কার্যালয়ে প্রায়শই পিকনিক করে বিজেপির লোকজন। নিজেরাই কোনোভাবে আগুন লাগিয়ে তৃনমূলের নামে দোষ চাপাচ্ছে। তৃনমূলের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আগামী দিনে তারা রাজনৈতিক ভাবে এই চক্রান্তের মোকাবিলা করবেন।”