নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার খলিশানী অঞ্চলের বাসিন্দা কেষ্ট দোলুই। আর পাঁচটা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের মতোই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তাঁর ছিমছাম জীবনযাপন। কিন্তু, হঠাৎ একটি বার্তা তাঁর বাড়িতে এনেছিল আনন্দের জোয়ার। হবেই না বা কেন?— কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারবে বলে কথা। তাই প্রস্তুতিও ছিল তুঙ্গে। প্রায়শই বাড়িতে বন্দুকধারী পুলিশদের আনাগোনা, ক্যামেরা নিয়ে রিপোর্টাররা হাজির হচ্ছেছিলেন। কেষ্ট বাবুও আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন।
কিন্তু শেষমুহুর্তে সফর বাতিল হওয়ায় কেষ্ট দোলুই ও তাঁর স্ত্রী নমিতা দোলুইয়ের সব আশাই কার্যত অধরা থেকে যায়। এবার দোলুই দম্পতির বাড়িতে গিয়েই মুড়ি খেয়ে এলেন তৃণমূল নেতারা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করতে ব্যস্ত তখন তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ মেনে ‘জনসংযোগ যাত্রা’য় নেমে পড়লেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার সেই কর্মসূচিতেই গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার খলিশানী অঞ্চলের বাসিন্দা কেষ্ট দোলুইয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আব্বাসউদ্দীন খান, উলুবেড়িয়া পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক অভয় দাস, উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বেনু কুমার সেন সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
কেষ্ট দোলুইয়ের বাড়িতে মুড়ি খাবার পাশাপাশি দোলুই দম্পতির সাথে কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাসও দেন শাসকদলের নেতারা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আব্বাসউদ্দীন খান বলেন, “বিজেপি ভাঁওতা দেয়। অমিত শাহরা খাওয়ার অভিনয় করেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের পাশে থাকেন।” তিনি আরও জানান, “মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় জনসংযোগ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।”