মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের বলে দিয়েছেন কেউ করোনা লিখবেন না, নিউমোনিয়া লিখবেন : দিলীপ ঘোষ

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : মানুষ যদি বম ফাটিয়ে থাকে অন্যায়টা কি করেছে? বলে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে উলুবেড়িয়ার মানসাতলার দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই কথা জানান। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী যখন‌ই আবেদন করেন দেশের কোটি কোটি মানুষ সাড়া দেয়। যারা বিরোধিতা করেছিলেন তারাই এখন প্রশ্ন করছে, কে বম ফাটালো? কেনো প্রদীপ জালা হল ? বম কারা ফাটালো, সেটা পুলিশ দেখুক। আর অন্যায়টা বা কি হয়েছে? এতদিন মানুষ মুমুর্ষ অবস্থায় ছিল, হতাশ অবস্থায় ছিল। যদি একটু আনন্দ করে থাকে, বিরোধীদের কষ্ট হচ্ছে কেনো?

তিনি বলেন বিরোধীদের মনের মধ্যে সুখ ও নেই দুঃখ‌ও নেই। তাদের কথা কেউ ভাবেওনা। মানুষের মনের মধ্যে যে হতাশা ছিল তা কেটে গেছে। লক ডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে লক ডাউন বাড়াতেই হবে। এটা ছাড়া কোনো রাস্তা নেই। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী প্রবীন নেতা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন পার্টির সিনিয়র লিডার ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বদল বৈঠকের মাধ্যমে নিশ্চ‌ই সমাধান বেড়োবে। রিভিউ হবে। তিনি আরো বলেন আমি আশা করবো সেই সুযোগ যেন না আসে। মানুষ যদি লম্বা লক ডাউনে না যেতে চান, তবে লক ডাউন মেনে চলুন। তিনি জানান কেউ লক ডাউন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিত।

গোটা দেশেই সেটা হচ্ছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে না। আমি জানি না আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কি চাইছেন? এখানে করোনা অনেক ছড়িয়েছে। তিনি চিকিৎসকদের বলে দিয়েছেন যে কেউ করোনা লিখবেন না। নিউমোনিয়া লিখবেন। যেমন ডেঙ্গুর সময় অজানা জ্বর লিখতে বলা হয়েছিল। তিনি জানান চিকিৎসকদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বীমা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাদের সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ কোনো চিকিৎসকের যদি করনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। বলা হবে তার বিপি ছিল, সুগার ছিল, হাইপারটেনশন ছিল, তাই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। করোনার কথা আসবে না।

এটা দূর্ভাগ্যজনক। আমরা দেখছি সারা ভারতবর্ষে মানুষের করোনা টেষ্ট করা হচ্ছে। তার পরেই বোঝা যাচ্ছে সেখানে কত মানুষ আক্রান্ত। কেরলে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রতিদিন ২০০ মানুষের টেষ্ট করা হচ্ছে। যা ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে বেশি। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা ৫। ভারতের মধ্যে সবথেকে কম। ভারতবর্ষে গড়টা ৩২। ফলত মানুষ মারা গেলেও বোঝা যাচ্ছে না, করোনা হয়েছে কিনা। রাজ্য সরকার তথ্য চাপা দিতে গিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।