নিজস্ব সংবাদদাতা : দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান সহ বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সমীর কুমার পাঁজা। রবিবার উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমীর কুমার পাঁজা বলেন,”বাইশ বছর আগে আমি কী ছিলাম, আমি আজ কী হয়েছি, তা একবার আয়নায় দেখতে হয়, আত্মসমালোচনা করতে হয়।” তিনি বলেন,”আমার একটা প্রধানের একটা ভাঙা গাড়িও ছিলনা, আজ বারোখানা গাড়ির মালিক। ভাবে কী আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ!” তিনি বলেন, বেশকিছু প্রধানের সম্পত্তি বেড়েছে, তারা দুর্নীতির সাথে আপোষ করেছে। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
যারা পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তারা কী ছিল, আজ কী অবস্থায় আছে — এটা সার্বিকভাবে দলের তদন্ত করা উচিত। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার আগে দল যাতে সব দিক ভেবে টিকিট দেয় সে-ই কথাও জানান উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক। তবে এপ্রসঙ্গে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরী বলেন, তিনি কথা গুলো বলেছেন জ্বালায় বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এগুলো সব জানে। শুধু প্রধানরা নয়, তৃণমূলের নেতাদের ক্ষমতায় আসার আগে কী সম্পত্তি ছিল আর আজ কত সম্পত্তি হয়েছে তা তদন্ত করে দেখলেই সব ধরা পরবে। এতদিন ওনার হুঁশ ছিলনা। উনিতো বিধায়ক, এতদিন কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ফ্ল্যাট কেনে বসবাস করার জন্য আর তৃনমূল নেতারা ফ্লাট কেনে টাকা রাখার জন্য। এটা রাজনৈতিক গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয়।