উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে চলছে কড়া লকডাউন, শুনশান বাসস্ট্যান্ড-রাস্তাঘাট

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : গতকাল বিকেল ৫ টা থেকেই রাজ্যের সমস্ত কন্টেনমেন্ট জোনে কড়া লকডাউন জারি হয়েছে। কোলকাতার পাশাপাশি হাওড়াতেও করোনা বাড়বাড়ন্ত। তাই স্বভাবতই হাওড়ায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যাটাও বেশি। রাজ্য সরকারের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে হাওড়া জেলায় মোট ৫৬ টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে। এই ৫৬ টির মধ্যে অধিকাংশই গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার। গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লকে ১১ টি ও জগৎবল্লভপুর ব্লকে ১০ টি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে।

একসাথে ১১ টি কন্টেনমেন্ট জোন থাকায় উদয়নারায়ণপুর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে কড়াহাতে লকডাউন কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল বিকেলের পর থেকেই বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনগুলিকে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, চলছে পুলিশি নজরদারি। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে চলছে নাকা চেকিং। বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেড়োতে হলে কন্টেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের রাখতে হবে উপযুক্ত প্রমাণ। নাহলেই পুলিশের তরফে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।উদয়নারাপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের তরফে মাইকিং করা হচ্ছে।

স্বভাবতই গতকাল বিকেলের পর থেকেই শুনশান উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকা। উদয়নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড কিমবা ভবানীপুর বাজার সবজায়গার চিত্রটা প্রায় অভিন্ন। এর পাশাপাশি, হাওড়া-হুগলির সংযোগকারী বকপোতা সেতুতেও পুলিশের তরফে চলছে নাকা চেকিং। সূত্রের খবর, উপযুক্ত কারণ ছাড়া কোনো মানুষকে হুগলী থেকে উদয়নারায়ণপুরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবার, প্রয়োজন ছাড়া উদয়নারায়ণপুর থেকে হুগলীতেও যেতে দেওয়া হয়নি।

উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, “জনস্বাস্থ্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তার সাথে কোনোরূপ আপোষ নয়। তাই সরকারি নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই এই কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ি চালকদের হেলমেট থাকার পাশাপাশি মুখে মাস্ক রাখা বাধ্যতামূলক। নাহলেই মোটর ভেহিকেল আইনে মামলা করা হবে। শুক্রবার থেকে লকডাউন পুরোপুরিভাবে কার্যকর করতে এভাবেই তৎপর উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ।