উপনির্বাচনের পর হাওড়া গ্রামীণ জেলার একধিক জায়গায় আক্রান্ত বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হ‌ওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃনমূল বিজেপি সংঘর্ষ। তার আঁচ পড়তে দেখা গিয়েছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা জুড়ে। ফলাফল ঘোষনার দিনই উলুবেড়িয়ার মনসাতলা পার্টি অফিসে বোম চার্জ করে একদল দুষ্কৃতী। আর সেদিন রাতেই উদয়নারায়নপুর বিধানসভার পুরাশ কানপুরের মাতো গ্রামে বিজেপি কর্মী ও তাদের পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ‌ ওঠে তৃনমূল আশ্রিত দূস্কৃতিদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উপনির্বাচন এর ফলাফল বেরোনার পর বিকালে বক্স বাজিয়ে শিবতলা এলাকায় ফিস্ট করে তৃনমূলের সমর্থকরা। অভিযোগ সেখান থেকে বিজেপির ফ্ল্যাগ খুলে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে তূনমূলের কয়েকজন যুবক। আর তার প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বচসা। সেখান থেকে শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে ইঁট বৃষ্টি। এবং ভাংচুর করা হয় দুটি গাড়ি। পরিস্থিতি সেদিনের মতো সামলে গেলেও পরেরদিন রাতে আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

বিজেপি’র অভিযোগ শুক্রবার রাতে এলাকার কয়েক জন তৃণমূল নেতা ও তাদের দলবল মিলে বিজেপি কর্মী দের উপর বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। চলে মহিলাদের উপর অত্যাচার ও তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় মঙ্গল মালিক নামে এক ব্যক্তি। ওখানকার স্হানীয় মহিলাদের অভিযোগ স্হানীয় তূনমূল নেতাদের সহযোগিতায় বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে পরিকল্পনা মতো হামলা করা হয়েছে ও মহিলাদের অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করা হয়েছে।

তৃনমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা তৃনমূল নেতা নাসিম তরফদার বলেন সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। কোনো তৃনমূল কর্মী এই ঘটনায় যুক্ত নয়। সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা। স্থানীয় বিজেপি’র নেতা সিদ্ধেশ্বর‌ মালিক আগে তৃনমূল করতো। পঞ্চায়েত ভোটের সময় টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃনমূলের নামে মিথ্যা বদনাম করছেন। বিজেপি’র পক্ষ থেকে আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।