নিজস্ব সংবাদদাতা : বঙ্গ রাজনীতির বড়ো ফ্যাক্টর সংখ্যালঘু ভোট। এবার সংখ্যালঘুদের ভোটে থাবা বসানোর লক্ষ্যে আসরে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির। আজ শুক্রবার গ্রামীণ হাওড়ার আমতা বিধানসভার সেহাগড়ী ফুটবল মাঠে একটি বিরাট যোগদান মেলার আয়োজন করেছিল হাওড়া গ্রামীণ জেলা সংখ্যালঘু মোর্চা। সেই সভা থেকে বাংলায় মুসলমানদের কথা তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলায় মুসলমানদের আগে তোষণ করা হতো এখন শোষণ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু সমাজে উকিল, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কোথায় ? বেশিরভাগই গরীব। স্বাধীনতার ৭২ বছর পরেও পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের কোনো উন্নতি করেনি শাসকরা। তাদের ভোটব্যাঙ্ক করে রেখে দিয়েছিল। বিজেপি ক্ষমতায় এলেন সকলকে সমান হিসাবে দেখবে। সমান অধিকার দেবে। কারণ বিজেপিকে মানুষ বলে মনে করে।”

মুসলমানদের দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখানে মাত্র দেড় শতাংশ লোক চাকরি করে। কিন্তু, গুজরাটে সাড়ে ৭ শতাংশ লোক চাকরি করে। এখানকার সংখ্যালঘু ছেলেরা গুজরাটে কাজের খোঁজে যায়। আর গুজরাটের সংখ্যালঘুরা বড় ব্যবসায়ী। তারা গাড়ি করে ঘুরে বেড়ায়। আমরা ক্ষমতায় এলে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করব যাতে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। টাটারাও ফিরে আসবে।” তিনি আরও বলেন, উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় সরকার সকলের জন্য সমান ভাবে কাজ করে মুসলমানরা পশ্চিমবঙ্গে বেশি গরিব।

এদিনের সভামঞ্চ থেকে পুরোহিত ভাতাকে পাপের টাকা বলে এই ভাতাকে প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ জানান বিজেপি সভাপতি। এদিনের সভায় প্রায় হাজার ছ’য়েক মানুষ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, নতুন যোগদান করা সদস্যদের মধ্যে সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলী হোসেন, বিজেপি নেত্রী জ্যোতির্ময়ী শিকদার, হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি শিবশঙ্কর বেজ সহ অন্যান্যরা