নিজস্ব সংবাদদাতা : কয়েকদিনের ব্যবধানে দু’টি পৃথক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সেই ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে দু’টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু সূত্র উঠে আসে। তার ভিত্তিতেই এই তিনজনের উপর নজরদারি চালানো শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার ধৃতদের উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা শ্যামপুরের রসুলপুর ও নবগ্রামের ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, গত ৬ ই জানুয়ারী রাতে শ্যামপুর থানার রসুলপুর এলাকার এক পান চাষির বাড়িতে গভীর রাতে হানা দেয় একদল ডাকাত। তারা গ্রিলের তালা ভেঙে ও বাড়িতে ঢোকে। পানচাষি সরোজ দাসের গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে আলমারি ভেঙে সোনার গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
এর পাশাপাশি, সরোজ বাবুর স্ত্রী ও মেয়ের গায়ে থাকা গহনা খুলে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এছাড়া বাড়ির জমি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা। অন্যদিকে, গত ২৩ শে ডিসেম্বর শ্যামপুরের নবগ্রামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।
সেই ঘটনাতেও ডাকাতদল গৃহস্থের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও বেশ কয়েক ভরী সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দুটি ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়েও পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।”