বাগনানে পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্যাসভর্তি ট্যাঙ্কারের ঢাকনা ফুঁড়ে সোঁ-সোঁ শব্দে বেরোচ্ছে গ্যাসের কুণ্ডলী। সোমবার সকালে গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান খাদিনান মোড়ে ৬ নং জাতীয় সড়কের উপর বীভৎস দৃশ্য দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেছিলেন। অনেকেই বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিলেন। যদিও পুলিশের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে খাদিনান মোড়ে ডিউটি করছিলেন ট্রাফিক পুলিশকর্মী স্বপন সাঁতরা ও তাঁর দু-একজন সহকর্মী। হঠাৎ নজরে তাঁদের নজরে আসে কোলকাতামুখী লেন ধরে একটি এলপিজি গ্যাস ট্যাঙ্কার আসছে। ট্যাঙ্ক থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। গাড়ির পিছনের দৃশ্য ঢাকা পড়ে গিয়েছে ধোঁয়া আর গ্যাসের আস্তরণে।

এত কিছু ঘটে গেলেও ট্যাঙ্কারের চালক তখনও কিছুই টের পাননি। এই দৃশ্য দেখে স্বপন সাঁতরা খাদিনান মোড় থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা নিরাপদ জায়গায় ট্যাঙ্কারটিকে দাঁড় করান ওই গাড়ির পিছনে থাকা সমস্ত গাড়িকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় খাদিনান মোড়ে। এরই মধ্যে স্বপন বাবু ফোন করে গোটা ঘটনার কথা বাগনানের ওসি (ট্রাফিক) ভাস্কর গায়েনকে জানান। ভাস্করবাবু তৎক্ষনাৎ খবর পাঠিয়ে দেন দমকলে। খবর পাঠানো হয় উলুবেড়িয়া ট্র্যাফিক গার্ডেও। উলুবেড়িয়া ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি নিশিকান্ত নস্করের নির্দেশে পুলিশকর্মীরা দ্রুত জাতীয় সড়কের অন্য প্রান্তটি বন্ধ করে দেন।

এরপর শুরু হয় গ্যাস ট্যাঙ্কারটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ। ততক্ষণে আরও দ্রুত গতিতে গ্যাস বেরনো শুরু হয়েছিল ট্যাঙ্ক থেকে। গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গাড়িটিকে জাতীয় সড়ক ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে ট্যাঙ্কারটিকে পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে জাতীয় সড়ক ধরে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নরেন্দ্র মোড় থেকে বাঁক নিয়ে রাস্তার অন্য প্রান্ত ধরে গাড়িটি এগোতে থাকে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরশিবপুরে একটি সংস্থার এলপিজি বটলিং প্ল্যান্টে। সেখানে ট্যাঙ্কার থেকে বাকি গ্যাস বার করে দেওয়া হয়। এভাবেই পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল গ্যাস ট্যাঙ্কারটি।