পড়শিদের বাধায় সাঁকরাইল স্টেশনে ঠাঁই পুরকর্মীর, পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে ঢুকলেন বাড়ি

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : তিনিও করোনা যোদ্ধা। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন কোলকাতা পুরসভার পাম্পিং স্টেশনে। কিন্তু, হঠাৎই বাধ সাধে করোনা। সূত্রের খবর, মে মা’সের শুরুতেই জ্বর হওয়ায় এম.আর.বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাওড়ার নলপুরের বাসিন্দা পান্নালাল দে’কে। সেখানেই তাঁর দেহে করোনার উপস্থিতি মেলে।

যদিও চিকিৎসার পর গত ১৩ ই মে রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের তরফে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে একা থাকায় তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টাইননে থাকার সিদ্ধান্ত নেন পান্নালাল বাবু। কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়ায় ওই বন্ধুর স্থানীয়রা। অভিযোগ,বন্ধুর বাড়িতে ঢুকতে গেলে স্থানীয়রা আপত্তি করেন।

পুলিশকে হাসপাতালের দেওয়া ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে করোনা নেগেটিভ দেখালেও এলাকার মানুষের প্রবল আপত্তিতে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে ওই বন্ধুর বাড়ি ছাড়ার অনুরোধ জানান। সেখান থেকে পান্নালাল বাবু সাঁকরাইলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে সেখান থেকেও তাঁকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়।

পুলিশের তরফে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে সাঁকরাইল স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম চত্বরেই অবশেষে আশ্রয় নেন পান্নালাল দে। এই খবর জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় পুলিশ জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে ওই ব্যক্তিকে নলপুরে নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। জানা গেছে, সেখানেই আপাতত ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকবেন পান্নালাল বাবু। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁর দ্বারে সমস্ত খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।