নিজস্ব সংবাদদাতা : বঙ্গ সাহিত্যের অন্যতম রত্ন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শরৎবাবু জীবনের একটা বড়ো অংশ হাওড়া জেলার পানিত্রাসে কাটিয়ে ছিলেন। কথাশিল্পীর বাড়িকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। দেউলটি স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত করার দাবি জানিয়ে ২০২০ সালে পার্লামেন্টে সরব হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। কিন্তু তারপর দু’বছর কেটে গেলেও এব্যাপারে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
রবিবার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসে তাঁর নামে দেউলটি স্টেশনের নামকরণের দাবি জানিয়ে দেউলটি স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দিলেন বাগনানের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বজন’-এর সদস্যরা। সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু জানান, যাঁরা ট্রেনে আসেন তাঁদের দেউলটি স্টেশনে নেমে শরৎ বাবুর বাড়িতে যেতে হয়। এই স্টেশনকে আমরা বারবার কথাশিল্পীর নামে নামাঙ্কিত করার অনুরোধ জানিয়েছি। দেশের বিভিন্ন স্টেশন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নামে নামাঙ্কিত করা হলেও দেউলটি স্টেশনের ক্ষেত্রে কোনোরূপ পদক্ষেপ নেয়নি রেল। তাই আবারও আমরা এই স্টেশনকে শরৎবাবুর নামে নামাঙ্কিত করার দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিলাম।
তিনি আরও বলেন, এবার আমরা আমাদের দাবিপূরণে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবো। রবিবার সকালে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি দেউলটি স্টেশনে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বজনের সদস্যরা। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু, হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ মানস বসু, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, সুমন চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পানিত্রাসেই শেষ জীবনের একটা বড়ো সময় অতিবাহিত করেছিলেন প্রবাদপ্রতিম কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি রূপনারায়ণ সংলগ্ন পানিত্রাসের দোতলা বাড়িতে বসেই ‘পথের দাবি’, ‘বিপ্রদাস’, ‘শ্রীকান্ত’র তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব সহ আরও কত কী লিখেছিলেন। শরৎবাবুর স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়ি আজ জীবন্ত ইতিহাস। আর তা দেখতেই বছরভর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন।