নিজস্ব সংবাদদাতা : নৃশংসভাবে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার পর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের আমড়দহ অঞ্চলের রতনপুর গ্রামে। মৃতের নাম দীপা মন্ডল।
সূত্রের খবর, রতনপুর মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা বছর চল্লিশের যুবক নবকুমার মন্ডল মানসিকবিকারগ্রস্ত হওয়ায় সেভাবে কাজকর্ম করতেন না। কোনোরকমে সংসার চালাতেন তাঁর স্ত্রী দীপা মন্ডল। দীপা মন্ডল অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে রান্নার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি বিকালবেলা ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে কাজে বেরোলেই তাকে সন্দেহ করতো নব। সেই নিয়ে প্রতিনিয়ত সাংসারিক অশান্তি লেগেই ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দীপা মন্ডল। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাকে দা দিয়ে নৃশংসভাবে কোপায় নব। দীপা মন্ডলের চিৎকার শুনে সেখানে পৌঁছে যান তার ভাসুর সুকুমার মন্ডল সহ এলাকার লোকজন।
তখন সুকুমার বাবুর ওপর চড়াও হয় নব কুমার মন্ডল। তাকেও কাটারি কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। কোনোমতে নিজেকে বাঁচিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে যান সুকুমার। তার হাতে ১৭ টি সেলাই পড়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন সুকুমার বাবুর স্ত্রী। এরপরই ওই দা দিয়েই নিজের মাথায় কোপ মারে অভিযুক্ত নব কুমার মন্ডল। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন নব কুমার মন্ডল। তিনি কোনো কাজকর্ম করতেন না। সংসার চালাতেন তার স্ত্রী দীপা মন্ডল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নবকুমার মানসিক বিকারগ্রস্ত। সন্দেহের জেরেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেছে।