শ্যামপুরে গৃহস্থের গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি, তদন্তে পুলিশ

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : গৃহকর্তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে সোনা, নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতের দল। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর থানার বেলাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুলপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় পানচাষী সরোজ দাসের বাড়িতে হানা দেয় বাইক নিয়ে হানা দেয় ছ’জনের ডাকাতদল।

অভিযোগ, চারজন দুষ্কৃতি বাড়ির গ্রীল ভেঙে ভিতরে ঢোকে। বাইরে বাকি দু’জন পাহাড়া দিতে থাকে। অভিযোগ, গৃহকর্তা সরোজ দাসের গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে আলমারি খুলে নগদ টাকা, সোনার গহনা, মূল্যবান নথি নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদল। এমনকি সরোজ দাসের স্ত্রী ও মেয়ের মুখ চেপে ধরে তাদের গা থেকে অলংকার খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সরোজ দাসের অভিযোগ, ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় দুস্কৃতীরা তাকে ভোজালি দিয়ে পিঠের একাধিক জায়গায় আঘাত করেছে। সরোজ বাবু জানান, শ্যামপুরের গ্রামের বাড়িতে তার একটি জমি আছে। যার বর্তমান মূল্য লক্ষাধিক টাকা। যদিও সম্প্রতি তার কিছু আত্মীয় এবং দালাল জমিটা কম দামে কিনতে চাইছিল।

তাঁর অভিযোগ, তিনি কম দামে জমিটি বিক্রি করতে নারাজ হলে তার প্রাণনাশেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতিরা যেভাবে তার মূল্যবান নথিপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে তা দেখে তারাই ওই করেছে বলে সরোজ বাবু অভিযোগ।

খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে নিকটবর্তী আটান্নগেট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনার।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে শ্যামপুর থানা এলাকায় বেশ কয়েকদিনের ব্যবধানে একাধিক দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিক প্রশাসন।