কন্যাশ্রী দিবসে সংবর্ধিত উলুবেড়িয়ার অহনা, নিজের হাতখরচ বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : বয়স যখন পাঁচ তখন থেকেই ক্যারাটেতে হাতেখড়ি ছোট্ট অহনার। দিন যত গড়িয়েছে ততই পরিণত হয়েছে তার ক্যারাটের শৈলী। রাজ্যস্তরের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরেও খ্যাতি অর্জন করেছে উলুবেড়িয়ার একরত্তি কন্যাটি। এবার কিশোরীর এই ব্যতিক্রমী লড়াইকে সম্মান জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

১৪ ই আগস্ট কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষ্যে কোলকাতার রবীন্দ্র সদনে রাজ্য সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানেই সম্মান জানানো হয় উলুবেড়িয়ার সারদা শিশু বিদ্যামন্দিরের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া অহনা ভট্টাচার্যকে। অহনার হাতে সম্মান তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এতেই অবশ্য শেষ নয়। নিজের জমানো হাতখরচ থেকে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দু’হাজার টাকা তুলে দেন ‘কন্যাশ্রী’ অহনা। সেই অর্থ এদিন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার হাতে তুলে দেন এই প্রতিভাবান ক্যারাটে খেলোয়াড়।

অহনার কথায়, দীর্ঘদিন ধরে টিফিনের খরচ, হাতখরচ জমিয়েই এই টাকা রাজ্যের বন্যাকবলিত মানুষের উদ্দেশ্যে তুলে দিলাম। কিশোরীর এহেন মানবিক উদ্যোগকে বাহবা দিয়েছেন স্বয়ং মন্ত্রী শশী পাঁজা। অহনা জানায়, প্রত্যেক নারীকে স্বনির্ভর হতে হবে। মাথা উঁচু করে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। মেয়ের কৃতিত্বে খুশি বাবাও।

অহনার বাবা পেশায় শিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল নারীর প্রেরণা। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর লড়াইয়ে সামিল হতে একটু একটু নিজের হাতখরচ বাঁচিয়ে টাকা জমাতে শুরু করে মেয়ে। তা থেকেই এই প্রয়াস। ছাত্রীর এহেন কর্মকান্ডে খুশি সারদা শিশু বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষও। এদিন অহনার পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার নোনা হাই স্কুলের পায়েল খাতুনকেও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।