নিজস্ব সংবাদদাতা : গতবছর আমতা-১ ব্লকের সোনামুই কাদম্বিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা নিজেদের টিফিন খরচ বাঁচিয়ে হাওড়া জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমতার ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেদিন সেই দৃশ্য দেখে মনেপ্রাণে অনুপ্রাণিত হয়েছিল সেদিনের নবম শ্রেণির ছাত্রী সৌমিতা মল্লিক।
তারপর নিজে মনে মনে দৃঢ় অঙ্গীকার করেছিল— “পরের বছর আমরাও দাদাদের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়াবো।” যদিও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই করোনা এসে হাজির। দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল। তাই দীর্ঘদিন বন্ধুদের থেকেও দূরে। কিন্তু, হাল ছাড়তে নারাজ দশম শ্রেণীর একরত্তি ছাত্রীটি। তাই একা একাই নিজের কাছে ছোট্ট একটি বাক্সে হাতখরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয়ে রাখা।
মানব সেবার স্বার্থে নিজের হাতখরচ বাঁচিয়ে সঞ্চিত অর্থ ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যদের হাতে তুলে দিল আমতা-১ ব্লকের সোনামুই কাদম্বিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া সৌমিতা মল্লিক। সৌমিতার কথায়, “বড়ো হয়ে দাদাদের মতোই মানুষের পাশে থাকতে চাই।”