বন্ধ অতিথি আপ্যায়ন, বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মানুষের পাশে দাঁড়াল আমতার তাজপুরের পাল পরিবার

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ লকডাউনে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। একমুঠো অন্ন সংস্থান করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে বহু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারকে। কারুর ভাত জুটলেও জুটছে না শাক-সব্জি বা অন্যান্য মুদিখানাসামগ্রী। এরকমই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো আমতা-২ ব্লকের তাজপুর গ্রামের পাল পরিবার।

সূত্রের খবর, লকডাউনের মাঝেই গত ২ রা মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা চন্ডীচরণ পাল। হিন্দু প্রথা অনুযায়ী তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হলেও তা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পরিবারের তরফে অতিথি আপ্যায়নের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে।

তার পরিবর্তে, চন্ডীবাবুর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান উপলক্ষ্যে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে আমতা-২ ব্লকের প্রায় ৪০০ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, নুন, সাবান, চিনি সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষের হাতে এই কর্মকান্ড চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে।পাশাপাশি, বেশ কিছু মানুষের বাড়ির দ্বারে গিয়েও পাল পরিবারের সদস্যরা পৌঁছে দিয়েছেন বিভিন্ন সামগ্রী।

চন্ডী বাবুর পুত্র তথা আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল জানান, “এই বিপদের দিনে যেভাবে মানুষ আমাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমরা মুগ্ধ। এই সামাজিক সংকটে দাঁড়িয়ে পরিবারের তরফে অতিথি আপ্যায়নের অনুষ্ঠান স্থগিত রেখে তাজপুর, নারিট, মহিষামুড়ি, সারদা, কুশবেড়িয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের বেশ কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।” তিনি আরও জানান, “শ্মশান যাত্রীদের নিয়েও কোনো জমায়েত না করে তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।”