নারদা কান্ডে মন্ত্রীদের গ্রেফতারির জের, গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভ, অবরোধ

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার সকালেই নারদ কান্ডে রাজ্যের দু’ই হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও দু’ই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপরই এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান, বিক্ষোভ, পথ অবরোধে সামিল হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।

সোমবার উলুবেড়িয়ার কালীনগর চৌরাস্তা ও শ্যামপুরের বাছরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বিক্ষোভের পাশাপাশি রাজ্যপাল ও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা।

অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে শ্যামপুরের ডিঙেখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে হাতে প্লাকার্ড নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা। অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার আমতা বাসস্ট্যান্ডে উলুবেড়িয়া উত্তর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, যুব সভাপতি সেখ আবদুল্লাহের নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় আমতা-বাগনান রোডের আনন্দ মাইতির চায়ের দোকান এলাকায় জনা পঞ্চাশেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন। এলাকাটি আমতা ও বাগনান থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে আমতা ও বাগনান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর সন্ধ্যা ৬.৪০ নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। উলুবেড়িয়া উত্তর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ আবদুল্লাহ বলেন, এটা বিজেপির চক্রান্ত। মানুষের রায়কে মাথা পেতে নিতে পারছেন না। তাই শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চেষ্টা চলছে।