বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগনান, আহত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গ্রামীণ হাওড়ার বাগনানের গ্রাম। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানের হ্যালান গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচানি বাগপাড়ায়। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ চলছিল।

জানা গেছে, রবিবার বিকালে বাগপাড়ায় বিজেপির একটি সভা উপলক্ষ্যে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, সেইসময় এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সাথে বাদানুবাদ শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। এরপরই দু’ই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ধানের গোলা সহ একাধিক জিনিসপত্র লুঠপাট চালানো হয়। ঘটনাস্থলে বাগনান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, “বিজেপি যাতে এই এলাকায় সভা না করে তার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। সেই হুমকি উপেক্ষা করেই রবিবার এলাকার বিজেপি কর্মীরা সভার আয়োজন করেছিল। এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় স্থানীয় হ্যালান গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মাসুদ রহমানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ জন বহিরাগত দুষ্কৃতকারী আমাদের কর্মীদের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। মারধরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। এলাকায় বোমাবাজি চালায়।”

যদিও হাল্যান গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মাসুদ রহমান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “এই এলাকার তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাহারানী দোলুইকে বেশ কিছুদিন ধরেই হুমকি দিচ্ছিল বিজেপির লোকজন। গ্রামে থাকতে গেলে বিজেপি করতে হবে বলেও হুইপ জারি করা হয়েছিল।” উপ-প্রধানের অভিযোগ, “অঞ্চলের এক সুপারভাইজার তাপস দোলুই পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে গেলে বিজেপি কর্মীরা তাকে মারধর করে। সাহারানী দোলুই এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে রবিবার দুপুরে তার বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপির লোকজন। তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের কর্মীদেরও মারধর করা হয়।” এমনকি তৃনমূল কর্মীদের লক্ষ করে গুলি চালানো হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিষ মৌর্য ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “এই এলাকায় একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। দু-পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকায় বোমাবাজি বা গুলি চালানোর অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। এই ঘটনায় ৪ জন বিজেপি কর্মী ও ২ জন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছে বলে জানা গেছে।