শ্যামপুরে নদীবাঁধে নতুন করে ফাটল, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : আম্ফানের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আম্ফানের পর কয়েকমাস যেতে না যেতেই নদীবাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্যা আতঙ্কে ঘুম উড়েছে শ্যামপুর থানার গাদিয়াড়া ওমরপুর গ্রামের মানুষের। শনিবার ভরা কোটালের পরেই ওই এলাকায় ফাটল দেখা গিয়েছিল। রবিবার সেই ফাটল আরও বৃহদাকার ধারণ করেছে। আর তাতেই আতঙ্কিত ওমরপুরের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের তির সেচ দপ্তরের বিরুদ্ধে।

তাদের অভিযোগ, সেচ দপ্তর ঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জেরেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, এই এলাকায় বাঁধ ভা‌ঙলে কমপক্ষে দ’শটি গ্রাম প্লাবিত হবে। আর তার জেরেই ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ পালের কথায়, “বছর দু’ই আগে সেচ দপ্তরের তরফে এই বাঁধের মেরামতির কাজ করা হলেও সঠিকভাবে কাজ না হওয়ার কারণে আজএই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাঁর দাবি, শনিবার অল্প ফাটল দেখা গেলেও রবিবার সকালে সেই ফাটল প্রায় ১ ফুট চওড়া হয়ে গেছে।

তিনি জানান, “শনিবার পঞ্চায়েত প্রধান এবং প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটির বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে মেরামতির কাজ করা হলেও তাতে কোন লাভ হয়নি।” গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে শেষ দপ্তরের পক্ষ থেকে পাকাপাকিভাবে এই সমস্যার সুরাহা করা হোক।

যদিও শ্যামপুরের বিধায়ক কালিপদ মন্ডল জানান, “তিনটি নদীর সংযোগস্থল গাদিয়াড়া। যে এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে সেই জায়গায় এই তিনটি নদীর জলের চাপে প্রাকৃতিক ভাবে একটি খালের সৃষ্টি হয়েছে। যার গভীরতা প্রায় ৫০ ফুট। সেই কারণেই বারবার এখানে ফাটল দেখা যায়। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই মেরামতির কাজ করা হলেও কোন পাকাপাকি সুরাহা করা যায়নি। প্রাকৃতিক কারণেই শেষ দপ্তরকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বারেবারে। তিনি আরও বলেন, “তিনি ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছেন এবং সোমবার থেকেই সেখানে কাজ শুরু করবে সেচ দপ্তর।” সমগ্র শ্যামপুর ব্লকটি তিনদিক নদী দিয়ে ঘেরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ষাঁড়াষাঁড়ি বান আসবে। সেই কারণেই তাঁরা সজাগ রয়েছেন বলে জানান কালীপদ বাবু জানান। বন্যার হাত থেকে শ্যামপুরের গ্রামগুলিকে বাঁচাতে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন চাইছেন এলাকাবাসী।