শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ‘ইয়াস’, ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঠিক এক বছর আগেই আম্ফানের দানবীয় তান্ডব দেখেছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। বেশ কয়েকদিন আগেই সেই খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে আবহাওয়া দপ্তর আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেই আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘ইয়াস’।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ২৬ শে মে সকালে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়বে ‘ইয়াস’। সূত্রের খবর, অতি ভয়াল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়তে পারে ‘ইয়াস’। ১২০-১৬৬ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘ইয়াস’ আম্ফানের মতোই শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে। ২৪ শে মে সন্ধ্যা থেকেই বাংলা-ওডিশা উপকূলে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে। ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় সেই বেগ বেড়ে সর্বোচ্চ ৭০ কিমি হতে পারে। ২৬ তারিখ আছড়ে পড়বে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে। আম্ফানের স্মৃতি এখনও টাটকা। তারমধ্যেই বাংলার বুকে ‘ইয়াস’-এর চোখরাঙানি। ভয়ে ত্রস্ত উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। করোনা হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণে জেনারেটর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। সেই সঙ্গে অস্থায়ী ক্যাম্প বানানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাইক্লোন নিয়ে উপকূলবর্তী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেলাগুলিকে সতর্ক করেন। শুকনো খাদ্য মজুত রাখার নির্দেশ দেন। ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে।