করোনা সতর্কতায় মেয়ের বিয়ে পিছোলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনো রুখতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নেওয়া হয়েছে জনতা কার্ফু বা লক ডাউনের মতো সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকে চলছে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক প্রচার‌। তার ফলে অনেকটাই সতর্ক হয়েছে সাধারণ মানুষ। সেই চিত্র‌ই দেখা গেলো উলুবেড়িয়ায়। শনিবার বিয়ের দিন ধার্য হয়েছিল উলুবেড়িয়ার রাজাপুরের উত্তর কাঁটাবেড়িয়ার বাসিন্দা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হাজি মহবুব আলি মল্লিকের ছোট মেয়ে সানিয়া পারভিনের।

সানিয়া বটানি অনার্সে স্নাতক। পাত্র পক্ষ উলুবেড়িয়ার বাউড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। দুই মাস আগেই দেখোশানো‌র মাধ্যমে সম্বন্ধ হ‌ওয়ার পাশাপাশি আগামী ২৮ শে মার্চ বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল। তখনো করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েনি দেশ জুড়ে। বিগত কয়েকদিনের বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে বিয়ের দিন নিয়ে আলোচনায় বসে দুই পক্ষ। তার পরেই তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিয়ের দিন পরিবর্তনের। সানিয়ার বাবা হাজি মহবুব আলি মল্লিক বলেন করোনা এই মুহূর্তে সব থেকে বড় সমস্যা।

বিয়ে বাড়িতে জমায়েত হবেই। তার ফলে বড়ো ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় সম্ভবনা থেকেই যায়। সেই কারণেই দুই পক্ষ আলোচনা করে আপাতত বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাত্র পক্ষের সাথে কথা বলার পর তারাও সহমত পোষণ করেন। সানিয়া জানান দুই পরিবারের লোকজন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, ভারতবর্ষ করোনা মুক্ত হোক এটাই সবাই চাই। তারপরেই নতুন করে বিয়ের দিন ঠিক করা যাবে। এতে মন খারাপের কিছু নেই।

সানিয়ার দাদা মিনহাজুল আলি মল্লিক বলেন সমস্ত আয়োজন সারা হয়ে গিয়েছিল। নিমন্ত্রণ করাও হয়ে গিয়েছিল আত্মীয়সজন সহ অনেককে। কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে বিয়ের বাড়ির অনুষ্ঠান হলে সমাজের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। একজন নাগরিক হিসেবে কোন ভাবেই সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা দুই পরিবারের লোকজন যৌথ ভাবে আপাতত বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সানিয়া এবং তাদের পরিবারের এই সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার লোকজন থেকে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন।