রাত পোহালেই উলুবেড়িয়ায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : ইউনেস্কো বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোকে কালচারাল হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। এই মহাস্বীকৃতির পর এবারই ছিল প্রথম দুর্গাপুজো। বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোকে বিশ্বজনীন করে তোলার এই মুর্হুতকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে বাংলা জুড়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুজোর আগেই বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগেই কোলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিসর্জনের কার্নিভাল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মোতাবেক শুক্রবার উলুবেড়িয়া শহরের বুকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের কার্নিভাল। উলুবেড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে উলুবেড়িয়া পৌরসভার সামনে থেকে কার্নিভাল শুরু হবে। শহরের রাজপথ অতিক্রম করে বর্ণাঢ্য এই কার্নিভাল পৌঁছাবে উলুবেড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে। উলুবেড়িয়ার মোট ১৮ টি পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নিতে চলেছে। প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে ২৫০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পুজো কমিটিগুলি বিভিন্নভাবে তাদের শৈল্পিক ও নান্দনিক ভাবনায় বাংলার উৎসবকে, বাংলার দুর্গাপুজোকে, বাংলার গৌরবময় সংস্কৃতিকে ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলিকে সকলের সামনে উপস্থাপন করবে। উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস বলেন, উলুবেড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে আমরা নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…

তিনি আরও জানান, কার্নিভালে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির মধ্যে থেকেও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরষ্কৃত করা হবে। রাত পোহালেই উলুবেড়িয়া শহরে কার্নিভাল। তার আগে উলুবেড়িয়া শহর জুড়ে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতির ছবি। রাস্তার উপরে থাকা বিভিন্ন অস্থায়ী তোরণ যেমন খোলার কাজ শুরু হয়েছে, তেমনই উলুবেড়িয়ার রাজপথকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। কার্নিভাল উপলক্ষ্যে উলুবেড়িয়া শহরের নিরাপত্তাকে পুলিশের তরফে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার এই কার্নিভাল রুট পরিদর্শন করেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ, উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস, ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান সহ অন্যান্যরা। কালীবাড়ির ঘাটে যেমন থাকছে ডুবুরির ব্যবস্থা তেমনই একাধিক স্বাস্থ্যক্যাম্প ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এই কার্নিভালকে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। এই বর্ণাঢ্য কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য কার্যত মুখিয়ে রয়েছে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলো। উলুবেড়িয়া পৌর এলাকায় এবার সেরা ভাবনায় পুরষ্কৃত হয়েছে বানীতলা এন্ট্রি ট্যাক্স পেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। এবার তাদের ভাবনা ছিল ‘নারীশক্তি’। ভাবনার রূপকার তথা শিল্পী রমেশ দাস জানান, আমরা এই কার্নিভালে অংশ নিচ্ছি। আমাদের নারীশক্তিকে ট্যাবেলোয় বিভিন্নভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের নৃত্যের দল ও ঢাক থাকছে। পাশাপাশি, আমাদের মন্ডপ সজ্জার বেশ কিছু সরঞ্জামকেও আমরা কার্নিভালে উপস্থাপন করব। আর এসব নিয়েই দ্বাদশীর সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য কার্নিভালে মেতে ওঠার অপেক্ষায় উলুবেড়িয়া শহর।