ফের আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে বন্যার আশঙ্কা, ঘুম উড়েছে বহু মানুষের

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Updated on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : দু-মাস কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যার ভ্রুকুটি আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ডিভিসির রেকর্ড পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে ডুবতে পারে আমতা ও উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আর সেই আশঙ্কাতেই ঘুম উড়েছে আমতা ও উদয়নারায়ণপুরবাসীর। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রায় দু’লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। সেই জল শুক্রবার দামোদর হয়ে উদয়নারায়ণপুর পৌঁছাবে। এই জলেই প্লাবিত হতে পারে উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকের শতাধিক গ্রাম। আর তাই আগে থেকেই প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। বিস্তারিত আরও পড়ুন নীচে

এদিন বিকালে উদয়নারায়ণপুর বিডিও অফিসে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (ডেভলপমেন্ট) রজত নন্দা, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক শমীক কুমার ঘোষ, উদয়নারায়ণপুরের বিডিও প্রবীর কুমার শীট, উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলেখা পাঁজা সহ অন্যান্যরা। এদিন বিকাল থেকেই উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপাতত ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই উদয়নারায়ণপুরে ২০ টি নৌকা। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ৪০ টি স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে এবং শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বেবি ফুড মজুত রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিপর্যয় মোকাবিলায় এনডিআরএফ ও এসডিআরআফ টিমও মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। একই চিত্র আমতা-২ ব্লকেও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলাশাসকের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল। তারপর আমতা-২ ব্লক অফিসে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ, আমতার বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল, আমতা-২ ব্লকের বিডিও মাসুদুর রহমান, আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্দ্যা সহ অন্যান্যরা। আমতা-২ ব্লক প্রশাসনের তরফে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মাস দু’য়েক আগেই ডিভিসির ছাড়া জলে উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে বহু কৃষিজীবী মানুষ। সেইসময় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আমতায় এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা এলাকার হরালী, রামপুর ডিহিভূরশুট আসন্ডা,কানুপাট মনসুকা,কুড়চি শিবপুর সহ প্রায় ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কমবেশি জলের তলায় চলে যায়। পরে এই বন্যার জল আমতা-২ ব্লকের প্রায় ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে প্লাবিত করে। বন্যার সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার বন্যার ভ্রুকুটি। আর তাতেই ঘুম উড়েছে আমতা ও উদয়নারায়ণপুরবাসীর।