নিজস্ব সংবাদদাতা : বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে নৌকায় আগুন লাগার ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুরে। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ১ মৎসজীবী। নৌকায় থাকা বাকি ৮ জন মৎসজীবী কোনোরকমে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচান। সূত্রের খবর, নৌকা পুজো করে ৯ জন মৎসজীবী শ্যামপুরের গ্রাম থেকে একটি নৌকা নিয়ে ইলিশের সন্ধানে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বকখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
![](https://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/09/5-1-1024x576.jpg)
শ্যামপুর থানার কমলপুরের দেউলি গ্রামে রূপনারায়ণ নদীর পাড়ের কাছে নৌকাটি ঘোরানোর সময় নৌকায় লাগানো এন্টেনাটি নদীর উপর দিয়ে যাওয়া ১১০০০ ভোল্টের তারের সংস্পর্শে আসে। মুহুর্তের মধ্যে শর্ট সার্কিট হয়ে যাওয়ায় সাথে সাথেই নৌকাটিতে আগুন লেগে যায়। পুড়ে যায় জাল সহ মাছ ধরার সমস্ত সামগ্রী। স্থানীয় মানুষ ও বাকি মৎস্যজীবীরা জল দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নেভান।
![](https://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/09/4-2-1024x576.jpg)
নৌকার মালিক রামকৃষ্ণ সাঁতরার ছেলে তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সৌম্য সাঁতরা জানান, “নৌকাটি আমার বাবার। আমি নিজেই ওই নৌকার মাঝি। পুজো দেওয়ার পর ১৫ দিনের জন্য মোট ৯ জন মৎসজীবীকে নিয়ে ইলিশের খোঁজে বকখালির উদ্দেশ্যে আমরা রওনা হচ্ছিলাম। জোয়ারের জেরে রূপনারায়ণের জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। যাত্রা শুরু করার আগে নৌকাটি ঘোরানোর সময় নদীর উপর খুব নিচু দিয়ে যাওয়া ১১০০০ ভোল্টের তারের সংস্পর্শে আসতেই নৌকাটিতে আগুন লেগে যায়।”
![](https://www.uluberiasambad.in/wp-content/uploads/2020/09/1-6-1024x576.jpg)
তাঁর দাবি, নৌকাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে ডুবে গিয়েছে। তাদের আনুমানিক ১০-১২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও সৌম্য জানান। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নদীর খুব কাছ দিয়ে যাওয়া এই হাইভোল্টেজ তারের কারণে আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছিল। বিদ্যুৎ দপ্তরকে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তারা কোনরকম পদক্ষেপ নেয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত মৎসজীবী পরিতোষ গায়েনকে কমলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।