নিজস্ব সংবাদদাতা : দু-চোখে ছিল রেলের লোকো পাইলট হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বুনতে বুনতেই রেলের স্টেশনে স্টেশনে ঘুরে ছবি তোলা নেশা হয়ে গিয়েছিল। সেই নেশাতেই ছুটে ছুটে যেতেন বিভিন্ন জায়গায়। বেহালার বাড়ি থেকে গত ১৪ শে ফেব্রুয়ারী শেষবার বেড়িয়েছিলেন বছর উনিশের হার্দিক দাস। তারপর আর তার খোঁজ মেলেনি। চারদিকে খোঁজ করেও সন্ধান না মেলায় বেহালা থানায় ডায়েরি করে হার্দিকের পরিবার। মঙ্গলবার সকালে উলুবেড়িয়া থানার হীরাপুরের কাঁটাখালি ফেরিঘাট সংলগ্ন নদী থেকে তার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। বুধবার উলুবেড়িয়া হাসপাতালে এসে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, ঐ দিন দমদম স্টেশনে ট্রেনের ছবি তুলতে গিয়েছিলো ট্রেনপ্রেমী হার্দিক। পুলিশ তদন্তে নেমে দমদম স্টেশনের সি সি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলে, দেখা যায় হার্দিকের ফোনটি চেয়ে নিচ্ছে অঞ্জাতপরিচয় জনৈক ব্যক্তি। তারপর হার্দিক ঐ ব্যাক্তির পিছনে হাঁটতে শুরু করে। কিছুক্ষন হাঁটার পর হঠাৎ লাইন টপকে অন্যা প্লাটফর্মে চলে যায় ওই ব্যাক্তি। হার্দিক শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে তার প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করতে সময় লাগে। তার মধ্যেই উধাও হয়ে যায় ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। প্রায় তিন ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় সম্ভবত একটি ট্রেনে উঠে পড়ে হার্দিক। তারপরে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজনের দাবি, ওই ফোনটির মধ্যে তার যাবতীয় ছবি এবং ডকুমেন্টস ছিল। হার্দিক এতটাই রেলওয়ে প্রেমী ছিল সে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনাও করছিলো। তাই হয়তো ফোন চলে যাওয়ার জন্য মন থেকে ভেঙে পড়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের দাবি, ঐ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির জন্যই প্রান গেল হার্দিকের।অবিলম্বে তাকে খুঁজে বের করুক পুলিশ এবং দোষীর যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
উলুবেড়িয়ায় উদ্ধার কোলকাতার ফটোগ্রাফারের নিথর দেহ
Published on: