নিজস্ব সংবাদদাতা : এলাকা জুড়ে চলছে বেআইনি মদের রমরমা কারবার। প্রতিবাদ করলেই জুটছে হুমকি ও মারধরও। মদ্যপদের জ্বালাতনে ঘরে বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন এলাকার মহিলারা। পুলিশকে জানিয়েও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।তাই মঙ্গলবার পুলিশকে নাগালের মধ্যে পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন উলুবেড়িয়ার রাজাপুর থানা এলাকার জগন্নাথপুরের গ্রামবাসীরা। এদিন গৌতম ধাড়া (৪৫) নামে এক ব্যাক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করতে গেলে এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পুলিশকে ঘিরে। তাদের অভিযোগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই মদ ও জুয়ার ঠেক চলছে রমরমিয়ে। দিনের আলোয় এলাকার রাস্তাঘাটে বসে মদের আসর। স্থানীয়দের সাথে জোটে বহিরাগতরাও। চলে মহিলাদের কটূক্তি। মদ খেয়ে মদ্যপরা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করে।

প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় গন্ডগোল। কখনো কখনো আসে মদ্যপরা প্রানে মারার হুমকি। পুলিশকে বলেও কোনো লাভ হয়নি। শুধু তাই নয়। ঘরের লোকেরাও মদ খেয়ে বাড়ি গিয়ে স্বামী ছেলেরা অত্যাচার করে বলে জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। এর ফলে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। থানায় গেলে পুলিশ উল্টে ধমক দেয়। তার উপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছে জুয়া ও সাট্টা। এই অবস্থায় স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। তারপর মঙ্গলবারের এই ঘটনা। গৌতমের মৃতদেহ পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার কিছু লোকজন পুলিশকে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। তারা দাবি গ্রামে মদ ও সাট্টার ঠেক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশ মদের ঠেক বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিতে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়। জগন্নাথপুরের গৃহবধূ রিনা রঞ্জিত বলেন কয়েক মাস আগে আমাদের বাড়ির সামনে মদ খেয়ে গালিগালাজ করছিল কয়েকজন।

তারা রাস্তা দিয়ে যাওয়া কয়েকজন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাচ্ছিল। মদ্যপরা মহিলাদের কটূক্তি করছিল। প্রতিবাদ করায় আমাকে আমাকে মারধর করে । আমার স্বামীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে থানায় গেলে পুলিশ আমাদেরকেই ধমক দেয়। কোন অভিযোগও নেয়নি। একই অভিযোগ অন্যান্য এলাকাবাসীর। গ্রামবাসীরা বলেন মদখোর ও সাট্টাখোরদের জ্বালায় এলাকায় থাকা মুস্কিল হয়ে পড়ছে। পুলিশকেও পাশে পাওয়া যায়না। ফলে ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি তারা।রাজাপুর থানার আধিকারিক অজয় সিং বলেন আমরা বিভিন্ন সময়ে মদের ঠেকে অভিযান চালাই। বহু ঠেক তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তার বক্তব্য জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। মানুষের অভিযোগ যখন এসেছে তখন তারা ওই এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়াবে।