নিজস্ব সংবাদদাতা : রোজভ্যালীর আমানতকারীর টাকা ফেরতকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে আমানতকারীকে খুনের অভিযোগ উঠলো এক এজেন্টের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার পশ্চিম চেঙ্গাইলের কাজীপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম কাজী সাহাবুদ্দিন(৪৬)। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কাজী ইজাজুল।
অভিযোগ, এদিন বিকেলে সাহাবুদ্দিন আমানতের টাকা ফেরত নিতে ইজাজুলের বাড়িতে যায়। সেই সময় দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ইজাজুল ও তার পরিবারের সদস্যরা সাহাবুদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারের চোটে শাহাবুদ্দিন গুরুতর আহত হলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইজাজুলের পরিবারের দু-জনকে আটক করে। পুলিশ শাহাবুদ্দিনের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, ইজাজুল রোজভ্যালির এজেন্ট ছিল। সেই সময় শাহাবুদ্দিন ইজাজুলের মাধ্যমে রোজভ্যালিতে বেশ কিছু টাকা আমানত করে। পরবর্তীকালে রোজভ্যালি উঠে গেলে শাহাবুদ্দিন বারেবারে ইজাজুল এর কাছে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু প্রতিবারই সে নিরাশ হয়ে ফেরত আসে। ইতিমধ্যেই শাহাবুদ্দিনের বড় মেয়ের দেখাশোনা শুরু হয়। আগামী ২৭ শে জানুয়ারি তার আশীর্বাদের দিন ঠিক হয়। সেই কারণে শাহাবুদ্দিন আমানতের টাকা ফেরতের জন্য ইজাজুলকে চাপ দিতে থাকে। শাহবুদ্দিন ধুলোগোরের একটি বেসরকারি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। শনিবার বিকেল নাগাদ কারখানা থেকে ফিরে শাহাবুদ্দিন ইজাজুল এর কাছে যায় টাকা ফেরতের জন্য। এরপরই দু-জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়।
অভিযোগ, সেই সময় ইজাজুল ও তার পরিবারের লোকজন শাহাবুদ্দিনের উপর চড়াও হয় এবং তাকে ব্যাপক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাহাবুউদ্দিনকে উদ্ধার করে উলুবেরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। উলুবেড়িয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শাহাবুদ্দিনের মেজ মেয়ে সারিকা খাতুন বলেন, টাকা চাইতে গেলে বাবার পাশাপাশি আমাকে ও বোনকে মারধর করে ইজাজুলের পরিবারের লোকজন। পরে বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইঁট দিয়ে মাথায় মারা হয়। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সারিকা।