গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢোকাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজি উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়ায়

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাস এবং ট্রেনে নিয়মিত বাড়ি ফিরছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। এবার ১১ জন মুম্বাই ফেরত শ্রমিকের গ্রামে প্রবেশকে কেন্দ্র করে দু’টি পাড়ার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল গ্রামীণ হাওড়ার রাজাপুর থানার তুলসীবেড়িয়া অঞ্চলে।

জানা গেছে, শনিবার সকালে তুলসীবেড়িয়ার দু’টি পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশকয়েকজন জখম হয়েছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকালে তুলসীবেড়িয়ার সর্দার পাড়ায় ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক মুম্বাই থেকে ফেরেন। অভিযোগ, ঐ শ্রমিকরা পাড়ার একপ্রান্তে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলেও আপত্তি জানায় খালপাড়ের বাসিন্দারা। তারপরই, দু’টো পাড়ার মধ্যে বচসা শুরু হয়।

উত্তেজনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে রাজাপুর থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ১১ জনকে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাতে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও শনিবার সকাল থেকেই দু’ই পাড়ার মধ্যে আবারও বচসার শুরু হয়। অভিযোগ, বচসার মাঝেই উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি শুরু হয়। চলে বোমাবাজি।

ঘটনার খবর পেয়েই হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নামানো হয় র‍্যাফ। সর্দার পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের পাড়ার ১১ জন কোয়ারান্টাইন সেন্টারে চলে গেলেও তারা কেন গ্রামে ঢুকেছিল এই অভিযোগ তুলে তাদের উপর শোড, বোম নিয়ে হামলা চালায় খালপাড়ার বেশ কিছু মানুষ।

যদিও খালপাড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সর্দার পাড়ার বাসিন্দারা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, “এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ৫ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”