বিপর্যয়ে সতর্ক প্রশাসন! গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ব্লকে মক ড্রিলের আয়োজন

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : বছর ঘুরে গেলেও এখনো মনে আম্ফান, ইয়াসের দগদগে স্মৃতি। আয়লার দু:সহ স্মৃতিও মাঝে মাঝে উঁকি মেরে যায়। একের পর এক দানবীয় তান্ডবের সাক্ষী থেকেছে গ্রামীণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সাইক্লোন আর জলোচ্ছ্বাসের জোড়া গেড়োয় বিধ্বস্ত হয়েছে একের পর এক নদী তীরবর্তী গ্রাম। সে সব থেকে শিক্ষা নিয়েই বিপর্যয় মোকাবিলায় করণীয় কী সে-বিষয়ে ব্লক প্রশাসনকে ওয়াকিবহাল করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। বৃহস্পতিবার গ্রামীণ হাওড়ার নদী তীরবর্তী পাঁচটি ব্লকে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়। মক ড্রিলে অংশ নেন এনডিআরেফের কর্মীরা। তাঁরাই ব্লক প্রশাসনের কর্মীদের হাতেকলমে বিপর্যয় মোকাবিলা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে পাঠ দেবেন। জানা গেছে, হাওড়া জেলার নদী তীরবর্তী পাঁচটি ব্লককে মক ড্রিলের জন্য বাছা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বাগনান-১, বাগনান-২, শ্যামপুর-১, শ্যামপুর-২ ও উলুবেড়িয়া-১। উল্লেখ্য, আম্ফান ও ইয়াসে নদীতীরবর্তী এই পাঁচটি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক ব্লককে বিপর্যয় মোকাবিলা সম্পর্কিত ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাগনান-১ ব্লককে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন

অর্থাৎ হাসপাতালের উপর থেকে যদি কোনো ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় বা সাইক্লোনে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন কী করণীয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বাগনান-২ ব্লককে দেওয়া হয়েছে শিল্পাঞ্চলের উপরে ঝড়ের প্রভাব এবং তখনকার করণীয় বিষয় কী। শ্যামপুর-১ ও শ্যামপুর-২ ব্লককে দেওয়া হয়েছে রেসকিউ বা উদ্ধার কার্যের বিষয় করণীয় সম্পর্কে। মাটির বাড়ি পড়ে যাওয়া, ইলেকট্রিক পোস্ট পড়ে যাওয়া গাছ পড়ে যাওয়া বা কৃষি ক্ষেত্রের উপর প্রভাব এবং সেক্ষেত্রে করনীয় কী। অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লককে দেওয়া হয়েছে বহু তলের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলে সেখানে করনীয় কী বা যদি কোনো বহুতলে কোন মানুষ আটকে পড়েন তাদের কিভাবে উদ্ধার করা হবে। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিভিন্ন ব্লকের কর্মীদের মক ড্রিল করে দেখানো হচ্ছে। ব্লকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার কিছু যুবক যারা সাধারণত বিপদের সময় উদ্ধার কাজে হাত লাগায় এই ধরনের লোকেদেরও এই মক ড্রিল দেখানো হবে। হাওড়ার অতিরিক্ত জেলা শাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন পাল বলেন, এই ধরনের মক ড্রিল দেখার ফলে ব্লক প্রশাসন নিজেদের মতো করেও আরও বেশি সক্রিয় থাকতে পারবে। পাশাপাশি এলাকার মানুষও সচেতন হতে পারবে। তারাও বুঝতে পারবে বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় কী! তারা প্রশাসনের সঙ্গে সহজেই সহযোগিতার হাত বাড়াবে আশা করা যায়। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, যেহেতু সাগর ও নদী তীরবর্তী এলাকায় মূলত প্রভাব বেশি পড়ে তাই তাদের এখন দেখানো হচ্ছে। প্রশাসন মনে করলে আরো অন্যান্য ব্লকে দেখাতে পারে।