উলুবেড়িয়ায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের, জ্বলল গাড়ি, অবরোধ

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা ও মেয়ের। গুরুতর আহত আরও এক সাইকেল আরোহী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ নং জাতীয় সড়কের উলুবেড়িয়ার জোড়াকলতলার কাছে। জানা গেছে, মৃতদের নাম অপর্ণা পারাল(৪০) ও টুসু পারাল(১০)। দুর্ঘটনার পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। চলে অবরোধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে মেয়ে টুসুকে নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ধরতে ১৬ নং জাতীয় সড়কের কোলাঘাটমুখী লেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অপর্ণা দেবী। অভিযোগ, আচমকাই একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টুসু ও তার মা’কে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও এক সাইকেল আরোহী। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই কার্যত অগ্নিগর্ভের চেহারা নেয় জোড়াকলতলা এলাকা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষ। ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…

যদিও অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী ছিলনা বলে জানা গেছে। অ্যাম্বুলেন্সের চালক পলাতক। টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এলাকার মানুষ। অবরোধকারীদের অভিযোগ, আন্ডারপাস না থাকার কারণে এই এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। তারপরও প্রশাসনের তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে আন্ডারপাস তৈরির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। আসে র‍্যাফ। অ্যাম্বুলেন্সের আগুন নেভাতে আনা হয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। প্রায় চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে অবরোধ। অবরোধ তুলতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে অবরোধকারীদের তাড়া করে বলে অভিযোগ। প্রায় চার ঘন্টারও বেশি সময় জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। জাতীয় সড়ক জুড়ে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় অজস্র গাড়ি। সমস্যায় পড়েন বহু অফিস যাত্রী সহ অজস্র সাধারণ মানুষ। বহু গাড়িকে আমতা-বাগনান রোড ধরে ও আমতা-উলুবেড়িয়া রোড ধরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বেলা এগারোটা নাগাদ নাগাদ অবরোধ উঠে যায় বলে জানা গেছে।