নিজস্ব সংবাদদাতা : সালটা ১৯৮৭। বয়স তখন মাত্র ৯। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার জন্য উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টারে এসেছিলেন মায়া চক্রবর্তী। ৬০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিকূলতার বেড়াজালকে অতিক্রম করে আশা ভবনে থেকেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। শুধু পড়াশোনা করাই নয়, নার্স হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আশা ভবনের কিশোর-কিশোরীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তাঁর এই ব্যতিক্রমী লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে চলেছে ‘স্টেট কমিশনার ফর পারসন্স উইথ ডিসেবিলিটি’।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে মায়া চক্রবর্তীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ‘রোল মডেল’ হিসাবে তাঁকে পুরষ্কৃত করা হবে বলে জানা গেছে। শুধু মায়া চক্রবর্তী নন, শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষমদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পুরষ্কৃত হতে চলেছেন আমতা-২ ব্লকের সুকান্ত কুমার পাল। সুকান্ত বাবু বর্তমানে আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
কিন্তু, রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রেও তাঁর বৃহৎ পরিচয় রয়েছে। ‘জাতীয় যুব’ সম্মানে ভূষিত আমতার এই তরুণ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ শিবির আয়োজন সহ বিভিন্ন কাজ করে চলেছেন। তাঁর এই অবদানকেও সম্মান জানিয়ে তাঁকে পুরষ্কৃত করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। এছাড়াও, শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষমদের জন্য ওয়েবসাইটে সাবলীলভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য পুরষ্কৃত হতে চলেছে উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টার।