উলুবেড়িয়ার বাউড়িয়ায় নৌকা ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ এক মহিলা যাত্রী, গ্রেফতার মাঝি

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবারের হুগলি নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় পুলিশ নৌকার মাঝি ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লক্ষ্মীনারায়ণ বাগ ও তার সহযোগী চন্দ্রনাথ মন্ডলকে গ্রেফতার করে। লক্ষ্মীনারায়ণ নৌকার মাঝি আর চন্দ্রনাথ নৌকার সহকারী। মঙ্গলবার তাদের উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত সোমবার দুপুরে বজবজ-বাউড়িয়া ফেরী ঘাটে একটি নৌকা অবৈধভাবে নদী পারাপারের সময় যাত্রী সহ ডুবে যায়। সেই ঘটনায় প্রিয়াঙ্কা পাইক (১৯) নামে এক মহিলা যাত্রীর খোঁজ মেলেনি। সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলা দল নদীতে তল্লাসী চালায়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও নৌকার যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে নৌকাটি বজবজের কালীবাড়ি ঘাট থেকে ৯ জন যাত্রী নিয়ে বাউড়িয়ার ঘাটে আসছিল। ওইদিন হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতি পরিচালিত ফেরী পরিষেবা বন্ধ ছিল। ফলে অবৈধভাবেই ওই নৌকাটি যাত্রীদের নিয়ে পারাপার করছিল। যাত্রীরা ছাড়াও নৌকায় ছিল মাঝি ও তার সহকারী। নৌকাটি মাঝ নদীতে আসার পর ডুবে যায়। অভিযোগ নদীতে স্রোত ছিল তাছাড়া নৌকায় জল উঠছিল। নৌকার সহযোগী এমনকি মহিলা যাত্রীরাও নৌকা থেকে জল ছিঁচতে থাকে। মাঝ নদীতে নৌকা এলে নৌকা স্রোতের মুখে পড়ে ও টলমল করতে থাকে। এতে আরও বেশি জল ঢুকে যায় নৌকায়। এরপরেই নৌকা ডুবে যায়।

স্থানীয় মাঝিরা দ্রুত ভুটভুটি নিয়ে তাদেরকে উদ্ধারে নেমে পড়েন। তাদের চেষ্টায় দূর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকার মাঝি ও তার সহকারী সহ ৮ জনকে যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি প্রিয়াঙ্কা পাইকের। তার বাড়ি কলকাতার ঠাকুরপুকুরে। পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদায় তাদের নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সে জন্য তারা বাউড়িয়া ঘাট পেরিয়ে ট্রেন ধরে মেছেদায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে। নৌকার যাত্রী মেঘা দাস, আমান মল্লিক, অরূপ দাসরা জানান, ৩০ টাকা করে মাথাপিছু তাদের সঙ্গে ভাড়া ঠিক হয়।

নৌকায় জল ওঠার কথা মাঝিকে বললে তিনি বলেন জল ছিঁচে ফলে দিলে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু তাদের অভিযোগ জল আরও বেশি উঠছিল। ভয়ে সকলে সকলে নড়াচড়া বেশি করতে শুরু করে। তারপরেই নৌকা ডুবে যায়।এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে অবৈধভাবে নৌকা যাত্রী নিয়ে পারাপার করছিল কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কোনো নজরদারি ছিলনা কেন। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য তারা নজরদারি চালায়। আরও বেশি করে নজরদারি চালানো হবে।