বুড়িমার পুজো করে শুরু হয় এলাকার অন্যান্য কালীপুজো, ঐতিহ্যে অটুট খলিশানীর বুড়িমা

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিপদগ্রস্ত, অসহায় মানুষ ছুটে আসেন মা’য়ের দ্বারে। মানুষের বিশ্বাস, মা-ও কাউকে ফেরাননা। তাই সারা বছর হাওড়া জেলা তো বটেই বহু দূরদূরান্ত থেকে অজস্র মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীণ হাওড়ার খলিশানীর বুড়িমার কাছে। ১৬ নং জাতীয় সড়কের খলিশানী কালীতলা স্টপেজ থেকে পশ্চিমদিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বুড়িমার মন্দির। স্থানীয়রা জানান, মন্দিরটি চারশো বছরেরও বেশি প্রাচীন। সারা বছর বহু দূর থেকে অজস্র মানুষ ছুটে আসেন খলিশানীর এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে। তবে দীপান্বিতা অমাবস্যায় মন্দিরে কার্যত তিল ধারণের জায়গা থাকে না। জনশ্রুতি, খলিশানীর বুড়িমার কাছে ভক্তি ভরে আশীর্বাদ চাইলে যে কোনও কঠিন ব্যাধি সেরে যায়। মা’য়ের কাছে নিষ্ঠা ভরে মানত করলে সব মনস্কামনা পূর্ণ হয়। স্থানীয় মানুষের কাছে বুড়িমা কার্যত অভিভাবিকা। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…

খলিশানী ও আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের শুভ কাজে আগে মা’য়ের কাছে পুজো দেন, তারপর শুভকাজ সম্পন্ন করেন। এলাকাবাসীর কথায়, খলিশানী ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় বর্তমানে প্রায় শতাধিক কালীপুজো হয়। কিন্তু সকলেই আগে বুড়িমার কাছে পুজো নিবেদন করেন, তারপর কালীপুজো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আমতার জগৎপুর গ্রামে দেবীর ঘট প্রতিষ্ঠা করেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। পরে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে গৌরী নদীর তীরে শ্মশানের মাঝে কালীমূর্তি স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বহুকাল আগে ঘন জঙ্গল থাকায় এই এলাকায় জনসংখ্যা খুবই কম ছিল। ফলে এলাকাটি ছিল ডাকাতদের আখড়া। এরকম এলাকাতেই বুড়িমার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও আজ সেসব কিছুই নেই। কিন্তু রয়ে গেছে শত শত বছরের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যবাহী সুপ্রাচীন খলিশানী কালীমন্দিরে এখন সাজো সাজো রব।