আমতায় চিঠি লিখতেন রবীন্দ্রনাথ!, আজও অক্ষত সেই স্মৃতি

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্রামীণ হাওড়ার প্রাচীন বন্দরনগরী আমতা তার ইতিহাস – ঐতিহ্য – শিক্ষা – সংস্কৃতির উজ্জ্বল আলোয় স্বপ্রতিভ। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে জানা যায় আমতায় এসেছেন স্বামী বিবেকানন্দের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। এসেছেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা, ইন্দিরা গান্ধীর মতো মানুষও। পাশাপাশি, আমতার সাথে বিশ্বকবিরও বিশেষ যোগসূত্র পাওয়া যায়।জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত আমতা নারিটের নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্যকে চিঠি লিখতেন। উল্লেখ্য, নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য ছিলেন একজন স্বনামধন্য সাহিত্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর রচিত “মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি” কবিতাটি আজও পাঠক সমাজে সমাদৃত।

নবকৃষ্ণ বাবুর মর্মর মূর্তি

বিশিষ্ট আঞ্চলিক গবেষক প্রদীপ রঞ্জন রীত জানান, “নবকৃষ্ণবাবু রবীন্দ্রনাথের কাছে নিজের কিছু কবিতা পাঠিয়েছিলেন মতামত জানার জন্য।” নবকৃষ্ণের ‘ধরাসুন্দরী’ কবিতাটি পড়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই এপ্রিল এক বিশেষ চিঠিতে লেখেন – “আপনার কবিতাটি আমার বিশেষ ভাল লাগিয়াছে। সংশোধন করিবার কিছুই দেখিলাম না। আপনার অভিপ্রায় অনুসারে সে কবিতাটি ভারতীর সম্পাদিকার নিকটে পাঠাইয়া দিয়াছি।” প্রসঙ্গত, ‘ভারতী’-র সম্পাদিকা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের দিদি স্বর্ণকুমারী দেবী।

নবকৃষ্ণকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চিঠি

নবকৃষ্ণকে আর একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন – নমস্কারপূর্বক নিবেদন –
“আপনার কবিতা সুন্দর হইয়াছে, ভারতীতে পাঠাইয়া দিব।আমার যে কয়খানি গ্রন্থ আমার কাছে আছে আমি আপনাকে দিতে পারি। ভারতীর সকল সংখ্যা নাই – অসম্পূর্ণ। সময়াভাবে তাড়াতাড়ি লিখিলাম।মাপ করিবেন।
———শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”