নিজস্ব সংবাদদাতা : গাছ বোম নিয়ে খেলার সময়ে তা হাতে ফেটে যায় এক বছর বারোর কিশোরের। তার জেরে ডান হাতের বুড়ো আঙুল হাত থেকে প্রায় আলাধা হয়ে ঝোলার উপক্রম। সাথে অনরগল রক্তপাত। রোমহষর্ক চিত্র দেখে আঁতকে উঠেছিল অনেকেই। ঘটনার দিন তিনেকের মধ্যেই সেই আঙুল গভীর ক্ষত সারিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পথে। সৌজন্যে বাগনানের তরুণ চিকিৎসক। এযেন এক আশাহতের স্বপ্নপূরণ।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে গাছ বোম নিয়ে খেলার সময়ে তা আচমকাই হাতে ফেটে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক কিশোরের। কিশোরটিকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আশা হয় তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রোগীর আঙুলের অবস্থা দেখে অনেকেই একপ্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি তরুণ চিকিৎসক। বাগনানের নুন্টিয়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট সার্জেন সুদীপ্ত মল্লিক অপারেশন টেবিলে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল আর্টারি এনাস্টোমোসিসের মাধ্যমে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরালেন ওই কিশোরকে।
চিকিৎসক সুদীপ্ত মল্লিক বলেন, “কিশোরটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তার বুড়ো আঙুলের অবস্থা দেখে আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন অনেকে। তবে ঘটনার ৩ ঘন্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে আনায় অনেক সুবিধা হয়েছে। আমি আশাবাদে আস্থা রেখেছিলাম। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেয়ে দিতে পেরে খুব আনন্দিত বোধ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের পর বুড়ো আঙুল দিয়ে ৯৮% অক্সিজেন চলাচল করছে। যা সত্যিই আমার কাছে অন্যতম প্রাপ্তি।” চিকিৎসকের এহেন প্রয়াসে খুশি রোগীর পরিবারও। ক্ষত সারিয়ে ওই কিশোরের বুড়ো আঙুল ক্রমশ ছন্দে ফেরার পথে বলে রোগীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এরকম ঘটনা প্রথম নয়। কখনো কাটা হাত জোড়া লাগিয়ে, কখনো বা মুমূর্ষু রোগীকে বিরল অপারেশনের মাধ্যমে বাঁচিয়ে জীবন উপহার দিয়েছেন গ্রামীণ হাওড়ার এই চিকিৎসক।