বাগনানের ক্ষতিগ্রস্ত ফুল চাষিদের পাশে দাঁড়াল কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও জনপ্রতিনিধিরা

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : ছত্রাকের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ গোলাপ ফুল চাষিদের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন। উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা, জগৎবল্লভপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও জনপ্রতিনিধিরা সম্প্রতি বাগনানের বাঁকুড়দহ এলাকার গোলাপ বাগান পরিদর্শনে আসেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত গোলাপ বাগান ঘুরে দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সরবরাহ করেন ফুল চাষিদের। প্রশাসনিক তৎপরতায় আশার আলো দেখছেন ক্ষতিগ্রস্ত ফুল চাষিরা। জগৎবল্লভপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যানপালন বিভাগের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ কৌশিক নাগ বলেন প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে একাধিক ছত্রাকের সংক্রমণ এখানে হয়েছে। এছাড়া শীত‌ও অন্যতম কারনে। আমরা ফুল চাষিদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সরবরাহ করেছি এবং কিছু ওষুধের নাম ও বলে দিয়েছি।

চাষিরা ইতিমধ্যে তা প্রয়োগ করা শুরু করে দিয়েছেন। আমরা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি ও আবার দিন কয়েকের মধ্যে ওই এলাকায় যাবো। এছাড়া তারা রোগগ্রস্ত কিছু গাছ ও ফুল তারা সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান। এছাড়া তারা আগামী দিনেও এব্যাপারে ফুল চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবেন বলে জানান কৌশিকবাবু। এদিন ওই পরিদর্শক দলের ছিলেন উলুবেড়িয়া মহকুমা উদ্যানপালন দফতরের কর্তা গার্জেন মাজি, হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রমেশ পাল এবং বাগনান ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভোলানাথ সামন্ত ও ব্লকের কর্তারা।

এব্যাপারে বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন বিষয়টি জানার পরেই যোগাযোগ করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সঙ্গে। তারাও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার মানুষের সুবিধা অসুবিধায় তাদের পাশে রয়েছে ও থাকবে। শীতের কারনে ছত্রাক ঘটিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বাগনান ২ ব্লকের ওরফুলির বাঁকুড়দহ, কাঁটাপুকুর, হেলেদ্বীপ সহ খান ২০ গ্রামের শয়ে শয়ে বিঘায় গোলাপ চাষ। গোলাপ চারার পাতায় এসে যাচ্ছে কালচে বা হলদেটে দাগ। তার এক দিন পর থেকেই পাতা ঝরতে শুরু করছে। তার কয়েক দিন পরেই গাছটিই শুকিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে শুকিয়ে যাচ্ছে গোলাপ ও। চারা গাছও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ছত্রাকে আক্রান্ত হয়ে। মাথায় হাত পড়েছে ফুল চাষিদের। এক ফুল চাষি পুলক ধাড়া বলেন প্রশাসন আসায় আশা করছি ভালো ফল পাবো। স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন রেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।