নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ছ’শো বছর আগের কথা। শ্যামপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দামোদর। জনশ্রুতি, নদীপথে ব্যবসা করতে যাওয়ার সময় বণিক চাঁদ সদাগর বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদের উদ্যোগে শ্যামপুরের রতনপুর গ্রামে ‘রত্নমালা’ দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিবছরের মতো এবারও রত্নমালা মন্দিরের কয়েকশো বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপ উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেছে শ্যামপুর থানার রতনপুর গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শ্যামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন রত্নমালা মন্দির প্রাঙ্গণে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে কালো মাথার ভিড়। পড়ন্ত বিকালে রাজ্যের অন্যতম সুউচ্চ এই ঝাঁপ দেখতে ভিড় জমিয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
জানা গেছে, প্রায় ৪০ ফুটেরও বেশি উঁচু উচ্চতা থেকে এদিন মোট পাঁচজন সন্ন্যাসী ঝাঁপ পড়েন। স্থানীয় মানুষের দাবি, এটি এইমুহুর্তে এই অঞ্চল শুধু নয় সারা রাজ্যের অন্যতম উচ্চ ঝাঁপ। জানা যায়, আগে ৬৫-৭০ বছর ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ পড়লেও এখন তা কমিয়ে ৪০ ফুট করা হয়েছে। আগের মতো আর ১৫-২০ জন ঝাঁপ না পড়লেও সাড়ম্বরে ঘাটতি নেই এই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের। এখন এই ঝাঁপকে ঘিরে একাধিক জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে স্থানীয় এলাকায়। শোনা যায়, রত্নমালা মন্দিরের কাছে একটি সুউচ্চ নারকেল গাছ রয়েছে। তার সমান ঝাঁপ বাঁধা হয়।রত্নমালা দেবী ফুল ফেললে তবেই ঝাঁপ অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি ঝাঁপের ঠিক আগে চিল ওড়ে বলেও জানা যায়। প্রতিবছরের মতো এবারও এই ঝাঁপ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বসেছে মেলা। এভাবেই ঝাঁপকে কেন্দ্র করে মিলন মেলায় মেতে উঠেছে শ্যামপুরের রতনপুর।