নিজস্ব সংবাদদাতা : ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু গ্রাম। বন্যার জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু পানীয় জলের কল। এই পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত মানুষকে নিয়মিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে এসে পৌঁছেছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের বিশেষ মেশিন। স্বয়ংক্রিয় সেই মেশিনের মাধ্যমেই হাজার হাজার প্যাকেট জল প্যাকেজিং হচ্ছে। আর তা-ই পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন বন্যা কবলিত গ্রামে। আমতা-২ ব্লকের জয়পুরে ব্লক অফিসের সামনে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে রাতদিন জলের প্যাকেট তৈরির কাজ চলছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার পাউচ জল তৈরি হয়েছে। আরও তৈরি হবে।
আমতার বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল বলেন, “জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের তরফে এই উদ্যোগ। এই যন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি পাউচ আমরা বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রামে পাঠাচ্ছি। ইতিমধ্যেই আমতার ভাটোরা দ্বীপাঞ্চল সহ একাধিক জায়গায় এই জলের পাউচ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যায় যাতে কোনো মানুষ অসুবিধায় না পড়েন তার জন্য সর্বদা সজাগ প্রশাসন। ব্ন্যা পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত মানুষের দ্বারে পানীয় জল পৌঁছে দিতে প্রশাসনের এহেন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু মানুষ।