নিজস্ব সংবাদদাতা : রথযাত্রার অনুষ্ঠানে কীর্তনের তালে তালে খঞ্জনি হাতে নৃত্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনই দৃশ্য দেখা গেল গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলায় রানিহাটিতে। শুক্রবার বিকালে পাঁচলার নাবঘরায় একটি রথযাত্রার অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রথযাত্রার উৎসবে অংশ নিয়ে রথের রশিতে টান দেওয়ার পাশাপাশি কীর্তনের তালে খঞ্জনি হাতে নৃত্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একটা সোমবার আমি কাঁধে বাঁক নিয়ে তারকেশ্বরে বাবার মাথায় জল ঢালতে যাব৷ সমস্ত সনাতনী ভাই, বন্ধু সকলে আমরা একসঙ্গে যাব। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ উত্তরপ্রদেশ হবে, আসাম হবে। গুজরাটের মতো পশ্চিমবঙ্গেও স্কুলে গীতা পাঠ হবে। তিনি আরও বলেন, সনাতন মানে ভারতবর্ষ, ভারতবর্ষ মানে সনাতন। স্বামী বিবেকানন্দ শিখিয়েছেন, নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে ও অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন...
আমাদের গীতা বলে গেছে তোমরা সমস্ত জিনিস হজম করো। কাউকে বিষ বিতরণ করো না। এটা আমরা গীতা পড়ে শিখেছি। তার মানে এই নয় এক গালে থাপ্পড় মারলে আর একটা গালে এগিয়ে দিতে হবে। ইট শুনলে রসগোল্লা দিতে হবে। এমনটাা নয়। আমরা অত্যন্ত ব্যথিত যে কোন মানুষের সামাজিক ধর্মীয় রাজনৈতিক ভাবাভেগে আঘাত লাগলে তিনি প্রতিবাদ করতে পারেন। বাংলাদেশে অষ্টমীর দিন দুর্গোৎসবে মায়ের বিসর্জন হয়ে গেল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে। আমরা ধ্বজা নিয়ে হিন্দুরা সবাই মিটিং মিছিল করেছি। রাস্তা অবরোধ করিনি, গাড়ি পোড়াইনি। ট্রেন ভাঙিনি। আমাদের বাবা মহাদেবকে যদি কেউ গালাগালি করে আমরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকার লোক নই। এদিন তিনি নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় যে ভাঙচুর হয়েছিল তার নিন্দাও করেন। বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি এদিনের এই রথযাত্রার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার বিধায়ক অশোক দিন্দা সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই রথযাত্রায় ভক্তদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।