নিজস্ব প্রতিবেদক : ছোটো থেকেই অভাবের সংসারে বড়ো হয়ে ওঠা। দারিদ্র্য-অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা। আর ক্লাস নাইনে ওঠার সাথে সাথেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান। সেই শুরু। তারপর বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা।
রাজ্যজুড়ে তখন বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব। তখনও সেভাবে এরাজ্যে প্রভাব বিস্তার করেনি গেরুয়া শিবির। এরকমই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ নং ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামে বিজেপির সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে দিনরাত এক করে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন জোয়ারগড়ি গ্রামের যুবক চিরন বেরা। দল যখন যে পদে বসিয়েছে সেই পদে থেকেই বুথ স্তরের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে লড়াই চালিয়েছেন বিজেপির এই একনিষ্ঠ কর্মী।
এবার একুশের মহারণে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে পার্টির দুর্দিনের কর্মী চিরনের উপরই ভরসা রাখল ভারতীয় জনতা পার্টি। বছর তেত্রিশের যুবক চিরন এখনো বেকার। দিনরাত পার্টির কাজেই নিয়োজিত। চিরনের বাবা কোনোরকমে কাজ করে সংসার চালান।
চিরনের কথায়, “এরাজ্যে আমার মতো লাখো লাখো যুবক বেকারত্বের শিকার। একজন বেকার হয়ে বেকারত্বের জ্বালা বুঝি। প্রতি রাতে অনুভব করি সেই যন্ত্রণা। তাই ক্ষমতায় এসে আমার প্রথম লক্ষ্য হবে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বেকারদের কর্মসংস্থান করা।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, চিরন বিজেপির পুরনো কর্মী। জোয়ারগড়ি অঞ্চলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পিছনে বিজেপির এই যুব নেতার অনেক অবদান রয়েছে। এমনকি উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সেই সমস্ত দিক বিচার করেই চিরন বেরাকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির।
রবিবার দলের তরফে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার পরই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন জোয়ারগড়ি গ্রামের এই যুবক। জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী চিরন বেরা বলেন, “উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভায় মূলত দুটো ব্লক আছে। উলুবেড়িয়া-২ ও আমতা-১। দুটো ব্লকেই আমরা বিপুল মানুষের সমর্থন পাব। ৩ রা মে থেকেই উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার প্রান্তিক মানুষের দাবিপূরণে নেমে পড়ব।”
চিরনের মতো দীর্ঘদিনের বুথস্তরীয় রাজনৈতিক কর্মীকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে খুশি এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।