নিজস্ব সংবাদদাতা : আগেও তিনবার পালিয়ে গিয়েছিল এই যুগল। একবার তাঁরা বিয়েও করেছিলো। তবে দুই পরিবারের লোকজনের উদ্যোগে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। চতুর্থ বার পালিয়ে যাওয়ার পর দুই পরিবারের আর ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হলনা তাদের।ট্রেনের তলায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলো একুশ বছরের একটি ছেলে ও সতেরো বছরের একটি মেয়ে। একুশ বছরের পুনম রায় উলুবেড়িয়া কলেজের বি.এ.প্রথম বর্ষের ছাত্র, সতেরো বছরের অনুশ্রী দাস বেলকুলাই হাইস্কুল থেকে শনিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিল।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, যারা পালিয়ে গিয়েছিল, দু’জনের বাড়ী পাশাপাশি গ্রামে । একই হাইস্কুলের পড়ুয়া ছিলো তারা।ছেলেটির বাড়ী রাজাপুর থানার রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরভাঙ্গা বাসুদেবপুরে।একাদশ শ্রেণীর অনুশ্রী দাসের বাড়ী পাঁচলা থানার সাহাপুরে। ঘরভাঙ্গা বাসুদেবপুর ও সাহাপুর গ্রামদুটি পাশাপাশি হলেও রাজাপুর ও পাঁচলা থানার সীমান্ত এলাকা।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকেই পুনম ও তনুশ্রী দাসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতার কারনে আগে তিনবার বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।এর মধ্যে একবার তাঁরা একবার বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিল বলে জানা গেছে। একাধিক বার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও তবে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
শনিবার অনুশ্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করার পর ওই দিন সন্ধ্যায় পুনরায় পুনম ও অনুশ্রী পালিয়ে যায়।পালিয়ে যাওয়ার পর ও অনু্শ্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে থানায় লিখিত ভাবেে এই অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, পুুনম ও তনুশ্রী শনিবার পলিয়ে পুুনমের মামাবাড়ি জগৎবল্লভপুর থানার মুুনসিরহাটে যায়। ইতিমধ্যে পুনমের বাবা দিলীপ রায় বলেন, সোমবার আমি ছেলের নিখোঁঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা স্থানীয় রাজাপুর থানায় জানাতে আসি। ওই সময় আমি বাড়ী়তে ছিলাম না। আমার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই সময়় পাঁচলা থানার এক আধিকারিক আমাদের বাড়ি আসেন। সেখান থেকেই তিনি ওই আধিকারিক মোবাইলে আমাকে বলেন ছেলেমেয়েদের ফিরিয়ে না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পুলিশি তৎপরতা হচ্ছে এই খবর পেয়ে সোমবার মামার বাড়ি থেকে পুনম ও অনুশ্রী পালিয়ে আসে। তারপর তাঁরা কোনভাবে নলপুর স্টেশনে চলে আসে। সোমবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নলপুর স্টেশনের আপ লাইনে একটি লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় অনুশ্রী ও পুনম আত্মহত্যা করেন বলেই জিআরপি সূত্রে জানা গেছে।