নিজস্ব সংবাদদাতা : নিখোঁজ থাকার পর একই গাছে দু’ই বান্ধবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গ্রামীণ হাওড়ার আমতা থানার মুক্তিরচক গ্রামে। জানা গেছে, মৃত ছাত্রীদের নাম বৈশাখী পল্ল্যে ও কুহেলী মাইতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী ও কুহেলী দু’জনেই আমতা পীতাম্বর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর কলা বিভাগের ছাত্রী। কুহেলী মুক্তিরচক গ্রামের বাসিন্দা। বৈশাখীর বাড়ি জলাবিশ্বনাথপুরে হলেও সে ছোটো থেকে আমতার মুক্তিরচকে মামার বাড়িতে থাকত। জানা গেছে, কুহেলী ও বৈশাখী দু’জনেই একে অপরের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার সকালে স্কুল যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ছিল দু’ই বান্ধবী। যদিও পরীক্ষার কারণে স্কুলের ক্লাস বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। বিকাল গড়িয়ে গেলেও দু’জনের কেউ-ই বাড়ি ফেরেননি। তারপরই দু’জনের পরিবারের তরফে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাত কেটে গেলেও কোনো খোঁজ না মেলায় দু’ই পরিবারের তরফে মঙ্গলবার সকালে আমতা থানায় জানানো হয়। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে মুক্তিরচক মাঠ এলাকায় একটি বাচ্চা ঘুড়িটি ওড়াচ্ছিল। তার ঘুড়িটি কেটে পাশের নির্জন জঙ্গলে পড়ে। সেই নির্জন জঙ্গলে ঢুকলে বাচ্চাটি দু’ই ছাত্রীকে স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। সাথে সাথে বিষয়টি সে আশপাশের লোককে জানায়। খবর পেয়েই গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় আমতা থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ দু’টিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমতা থানার পুলিশ। জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে দু’ই ছাত্রীর স্কুল ব্যাগ ও বৈশাখীর ফোন পাওয়া গেছে। কুহেলির বাবা হারু মাইতি জানান, কোনো রকমে সংসার চলে। মেয়েকে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। তিনি জানান, স্কুল যাওয়ার কথা বলে সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কুহেলি বাড়ি থেকে স্কুল ড্রেস পরে বেরোয়। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। বৈশাখীর মামা জয়ন্ত মাখাল ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।