আদ্যাশক্তি মহামায়ার আরাধনায় মেতেছে বাগনানের গ্রাম, হয়না আর অন্য কোনো কালীপুজো

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাজুড়ে সাজো সাজো রব৷ সিত্রাংয়ের ভ্রুকুটিকে দূরে সরিয়ে রেখেই আলোর উৎসবে মেতেছে বঙ্গবাসী। সেই উৎসবে সামিল হয়েছেন বাগনানের বিরামপুর গ্রামের মানুষও। বিরামপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী আদ্যাশক্তি মহামায়ার আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামেই রয়েছে, আদ্যাশক্তি মহামায়া কালী মন্দির। সেই মন্দিরে এখন সাজো সাজো রব। স্থানীয় মানুষ জানান, বিরামপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জাগ্রত প্রাচীন কালী মায়ের শিলা মূর্তিটি প্রায় ৩০০ বছর আগে মুক্তরাম মান্না নামক এক ব্যক্তি মাটি খুঁড়ে পান। কথিত আছে, মুক্তরাম বাবু মূর্তিটি স্থাপন করার স্বপ্নাদেশ পান। শুধু মুক্তরাম বাবু নন, বিরামপুরের পাশ্ববর্তী কল্যাণপুর গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা মূর্তিটি পূজার্চনার জন্য স্বপ্নাদেশ পান।

সেই মোতাবেক কুঁড়েঘরে মাতৃ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় মাতৃ আরাধনা। পরবর্তীকালে চুন-শুড়কির ছাদ তৈরি করে মন্দির গড়ে তোলা হয়। পরবর্তী সময়ে নারায়ণ চন্দ্র মান্না নামক এক সহৃদয় ব্যক্তির সহযোগিতায় বিরামপুরে গড়ে ওঠে নয়নাভিরাম কালীমন্দির৷ স্থানীয় মানুষ জানান, শ্যামপুরের খেটো মিস্ত্রী মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরের স্থাপত‍্য আজও সকলকে মুগ্ধ করে। রূপনারায়ণ নদীর তীরে বিরামপুর গ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে নিত্যপুজো অনুষ্ঠিত হয়। বছরে দু’বার মেলাও বসে। বর্তমানে মন্দির কমিটির উদ্যোগে ও গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় দীপাবলিতে সেজে ওঠে এই ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দির। মাতৃ আরাধনার পাশাপাশি থাকে ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা। স্থানীয় মানুষের কথায়, পূর্বপুরুষদের মত অনুসারে এই মন্দিরের জন‍্য কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যায় বিরামপুর গ্রামে কোনো শ‍্যামাকালী পুজো করা হয় না।