খালনার মতোই লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে উঠেছে বাগনানের জোঁকা গ্রাম

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : খালনার লক্ষ্মীর পুজোর খ্যাতি হাওড়া জেলা নয় বাংলা এমনকি রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার জেরেই খালনা হয়ে উঠেছে হাওড়ার ‘লক্ষ্মীগ্রাম’। তবে খালনার মতোই ক্রমশ আরেক ‘লক্ষ্মীগ্রাম’ আত্মপ্রকাশ করেছে খোদ গ্রামীণ হাওড়ার বুকে। আমতার খালনা থেকে বাগনানের জোঁকা গ্রামের দূরত্বটা খুব একটা বেশি নয়।

খালনার মতো শতাধিক পুজো না হলেও লক্ষী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর উৎসবের চেহারা নেয় গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান থানার জোঁকা গ্রাম। সর্বজনীন, ক্লাব, বাড়ির মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশটি লক্ষ্মী পুজো হয় দামোদর সংলগ্ন এই গ্রামে।

সাবেকি প্রতিমার পাশাপাশি থাকে থিমের ছোঁয়া।বাজেটেও খুব একটা কম যায়না জোঁকার পুজোগুলি। সৃষ্টি ক্লাব, জোঁকা ইন্টারন্যাশনাল প্রায় প্রতিবছরই কয়েক লক্ষ টাকা বাজেটের পুজো করে। লক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র রঙবেরঙের আলোর রোশনাইয়ে প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে জোঁকা। সন্ধ্যা থেকেই ঢল নামে দর্শনার্থীদের।

বাগনান তো বটেই পাশ্ববর্তী আমতা থানার বিভিন্ন গ্রাম থেকেও বহু মানুষই ঠাকুর দেখতে আসেন। এবার করোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পুজোর বাজেট কমেছে। তবে উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে খামতি নেই। কোভিড প্রোটোকল মেনেই পুজোর আয়োজন করেছে সৃষ্টি ক্লাব। তাদের এবারের ভাবনা ‘করোনাসুর বধ’। অভূতপূর্ব শৈল্পিক সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সেই ভাবনার উপরই প্রতিমা তৈরি করেছেন মেদিনীপুরের শিল্পী।

‘সৃষ্টি’ ক্লাবের অন্যতম কর্তা মলয় গুছাইত বলেন, “প্রতিবারই আমরা ৩-৪ লাখ টাকা বাজেটের পুজো করি। কিন্তু এবার পুজোর বাজেট দেড়লাখ করা হয়েছে। তবে করোনা সম্পর্কিত সমস্ত বিধি মেনেই এবারের আয়োজন।”

তিনি বলেন,”লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ আমাদের গ্রামে ঠাকুর দেখতে আসেন। গভীর রাতঅব্ধি দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। তবে এবার পরিস্থিতির জেরে ভিড় বেশ কম।” ‘সৃষ্টি’র পুজো মন্ডপের অদূরেই পাট ও ছই দিয়ে মন্ডপ তৈরি হয়েছে জোকা ইন্টারন্যাশনালের।

এর পাশাপাশি, বাঙালপুর নবজাগরণ, কালীমাতা ব্যায়াম সমিতি, পাওয়ার সঙ্ঘ সহ একাধিক ক্লাবের প্রতিমা এবার দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। পাশ্ববর্তী আমতা-১ ব্লকের উদং থেকে জোঁকায় এসেছিলেন অরুণ খাঁ। তাঁর কথায়, “আগে খালনা যেতাম। তবে এখন প্রতিবছর জোঁকা গ্রামেই আসি। সত্যিই প্রতিমাগুলো অভূতপূর্ব।” লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে বাগনান থানার পক্ষ থেকে জোঁকা গ্রামে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।