নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গ্রামীণ হাওড়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত। চন্দ্রভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হওয়ার পাশাপাশি বাগনান কেন্দ্র তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদেও বসেছেন।
এবার তিনিও শুভেন্দু, রাজীব, বৈশালীদের পথ অনুসরণ করলেন। এবার প্রায় ১৫০০ কর্মী-সমর্থক নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বাগনান কেন্দ্র তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা চন্দ্রভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মলয় সাহা। সোমবার উলুবেড়িয়া মনসাতলায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মলয় ও তাঁর অনুগামীদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল।
এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মলয় সাহা জানান, “রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বিজেপিই এরাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। তাই বিজেপিতে আসা।” অন্যদিকে, মলয় সাহার স্ত্রী অন্তরা সাহা হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও বাগনান কেন্দ্র তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,”আমার রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কোনো সম্পর্ক বেউ। অন্তরা সাহা কী করবেন সেটা তাঁর নিজস্ব বিষয়।”
মলয় আরও জানান, “দিনকয়েকের মধ্যেই আমি চন্দ্রভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেব। কিন্তু, আমি পঞ্চায়েত সদস্যের পদ ছাড়ব না। কারণ, মানুষ আমায় নির্বাচিত করেছেন।” চন্দ্রভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও বেশ কয়েকজন পদ্মশিবিরে আসতে পারেন এদিন এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মলয়। হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল জানান,”রাজ্যজুড়ে তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক চলছে। সেরকমই বাগনান থেকে মলয় বাবু হাজার দেড়েক সক্রিয় কর্মী নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে এলেন। সকলকে দলে স্বাগতম।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মলয় সাহা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেনের খুব ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। বাগনান কলেজে ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তৃণমূলের হয়ে বাগনানে সামনের সারিতেই দেখা মিলত মলয়ের। ভোটের ঠিক আগেই মলয়ের এই দলবদল বাগনানের ভোটব্যাঙ্কে কতটা প্রভাব ফেলে তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে।