আমতায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় সাজা ঘোষণা, তিন যুবকের পাঁচ বছরের জেল হেফাজত

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : আমতায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ ই অক্টোবর দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে আমতা থানার আলতারা এলাকায়। এডিশনাল পাব্লিক প্রসিকিউটর (স্পেশাল) নীলাঞ্জন পন্ডিত জানান, আমতা থানার বসন্তপুরের আলাতাড়া এলাকায় একটি সোনার দোকান রয়েছে এক ব্যক্তির।

তিনি অন্যান্য দিনের মতোই ২০১৬ সালের ৫ ই অক্টোবর রাতে দোকান বন্ধ করে হুগলী জেলার জাঙ্গিপাড়ার গ্রামে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। মুন্সীরহাট এলাকায় ওই ব্যবসায়ীকে ঘিরে ধরে একটি স্করপিও গাড়ি। গাড়ি থেকে চার দুষ্কৃতকারী নেমে ওই ব্যবসায়ীকে জোর করে গাড়িতে তোলে।

তার থেকে মানিব্যাগ, ঘড়ি, মোবাইল সহ একাধিক এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতকারীরা। তারপর বেশ কয়েক ঘন্টা গাড়িতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে দুষ্কৃতকারীরা। ভোররাতে ওই ব্যবসায়ীকে আলতারায় তার দোকানে নিয়ে আসে দুষ্কৃতিরা। ব্যবসায়ীকে দিয়ে দোকান খুলিয়ে সোনা ও রূপোর গহনা চুরি করে দুষ্কৃতিরা। তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে ওখানে ফেলে রেখে স্করপিও গাড়িতে চেপে চম্পট দেয় দুষ্কৃতকারীরা।

আলতারায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমতা থানায় খবর দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করে আমতা থানার পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে এসরাজ মন্ডল, সুদীপ ঘোড়ুই, রঞ্জিত দাস সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে অন্তর্বতীকালীন জামিনে থাকার সময় এক অভিযুক্ত ফেরার হয়ে যায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯৫, ৪১২ ধারায় এসরাজ মন্ডল, সুদীপ ঘোড়ুই ও রঞ্জিত দাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।

সোমবার এই তিনজনকে পাঁচ বছরের জেল হেফাজত ও ২০০০ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সেশন জাজ মঞ্জুশ্রী মন্ডল। অনাদায়ে আরও একমাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জানা গেছে, সুদীপ ও রঞ্জিত বালি-নিশ্চিন্দা এলাকার বাসিন্দা ও এসরাজ মন্ডল হুগলী জেলার বাসিন্দা।