তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগে উদয়নারায়ণপুরের প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে এলাকায় তোলাবাজি, নদী থেকে অবৈধ বালি তুলে বিক্রি, বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের কাছ থেকে বলপূর্বক টাকা আদায় সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার বালিচক অঞ্চলের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা স্বপন পোড়েলের বিরুদ্ধে। এবার তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার পথে হাঁটল দল। জানা গেছে, বালিচক অঞ্চলের তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য স্বপন পোড়েলকে দল থেকে বহিঃষ্কার করল তৃণমূল। শনিবার দলের হাওড়া গ্রামীণ জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা স্বপনকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।

অভিযোগ, দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকার মানুষের উপর চরম অত্যাচার চালাত শাসকদলের এই প্রভাবশালী নেতা। প্রতিবাদ করলেই সাধারণ মানুষের উপর অমানুষিক অত্যাচার চলত। বালিচক অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি স্বপনের বিরুদ্ধে আগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সে-ই ঘটনার পরে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও তার দাপট বিন্দুমাত্র কমেনি। অভিযোগ, বাগুয়ার বাজেপ্রতাপপুর বাজারে গত শনিবার দলীয় কর্মীরা স্বপনের এহেন কাজের প্রতিবাদ করলে স্বপন তাদের ব্যাপক মারধর করে। এই ঘটনায় চারজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।তারপরই তাকে ৫ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে উদয়নারায়ণপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা স্বপন পোড়েল জানান,”আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকার এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু লোক দুর্নীতি করছিলেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। তাই আমাকে সরানোর জন্য বিধায়কের কাছেও ভুল তথ্য দেয়া হয় এবং তার ভিত্তিতেই আমার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানাবো। যাতে দল সঠিক তদন্ত করে। তারপর যা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা আমি মাথা পেতে নেব।”