নিজস্ব সংবাদদাতা : হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। শাসক থেকে বিরোধী শেষ মুহুর্তে সবপক্ষই নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। অন্যদিকে, বঙ্গ রাজনীতিতে ‘ফুল’ বদলও কার্যত তুঙ্গে।
শুভেন্দু, রাজীব, বৈশালী সহ রাজ্যের একাধিক সাংসদ, বিধায়ক যখন পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন তখন টলিউডের বাহা, লাভলি, ঝিলিক কিমবা দীপঙ্কর দে’র মতো বর্ষীয়াণ অভিনেতাকে দলে নিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে তৎপর ঘাসফুল শিবির। এই আবহে দাঁড়িয়েই শ’দেড়েক কর্মী-সমর্থককে নিয়ে পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলে নাম লেখালেন গ্রামীণ হাওড়ার আমতার দু’ই বিজেপি নেতা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, বিজেপির উলুবেড়িয়া উত্তর এক মন্ডলের যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি দেবীপ্রসাদ বিদ ও সহ-সভপতি পৃথ্বিশ বটব্যাল শ’দেড়েক অনুগামী নিয়ে রবিবার তৃণমূলে যোগদান করেন। রবিবার বিকালে আমতা বন্দর এলাকায় তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি।
এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কর সিং, উলুবেড়িয়া উত্তর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। দেবীপ্রসাদ, পৃথ্বিশদের মতো যুব নেতাদের দলে আনতে পেরে বেশ আশাবাদী স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, আমতার বুকে বিজেপিকে গড়ে তুলতে দেবীপ্রসাদ, পৃথ্বিশরা অনেক শ্রম দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা দলে যোগ্য মর্যাদা পাননি।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া দেবীপ্রসাদ বিদ জানান, “বিজেপিতে কাজ করতে গিয়ে দেখলাম দলের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই, কর্মীদের সম্মান নেই। তাই আমতার অন্যতম তৃণমূল নেতা তুষার দা’র উদ্যোগে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারে যোগ দিলাম।”
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভায় এমনিতেই বিজেপির সংগঠন খুব একটা মজবুত নয়। তার উপর ভোটের দোরগোড়ায় যুব নেতাদের এভাবে দলত্যাগ কতটা প্রভাব ফেলে তা-ই এখন দেখার বিষয়।