নিজস্ব সংবাদদাতা : ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক অন্য আবেগের। শুধুমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পেতে কত বাঙালি যে কত জায়গায় পাড়ি দেম তার হিসাব নেই। কালিম্পং, সিকিম, গোচালা আবার দার্জিলিং সব জায়গাতেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মিললেও প্রত্যেক ভিউয়ের মধ্যে রয়েছে নিজস্বতা, অন্তত এমনটাই মনে করেন বহু পর্যটক। নয়নাভিরাম কাঞ্চনজঙ্ঘাকে যদি রাতের বেলায় দেখা যেত তবে তার রূপটাই বা কেমন হত? — এ প্রশ্ন হয়ত অনেকে পর্বতপ্রেমীর মনেই ঘুরে বেড়ায়। তবে শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও সিকিমের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নাকি রাতের বেলায় কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়াবী রূপের দেখা মেলে। পূর্ব ও দক্ষিণ সিকিমের সংযোগস্থলে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম কিউজিং। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
অফবিট ও পরিচিতি খুব একটা না থাকায় সেভাবে এখনো কিউজিংয়ে পর্যটকের ভিড় লাগেনা। তবে এই গ্রাম থেকেই রাতের অন্ধকারে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব রূপের দেখা মেলে। রাত যত বাড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘাও ততই রূপ মেলে ধরে। আর পূর্ণিমার রাত হলে তো কোনো কথাই! সে এক অনন্য সাধারণ দৃশ্য। রাভাংলা কিউজিংয়ের দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। তবে যাওয়ার রাস্তা একটাই। বেশ খাড়াই ও কষ্টসাধ্য। এনজিপি বা শিলিগুড়ি থেকে সাড়ে চার – পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই গ্রামে পৌঁছে যাওয়া যায়। গ্রামে হাতেগোনা কয়েকটি হোম-স্টে রয়েছে। ব্যস্ত জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে আদর্শ একটি ছুটি কাটানোর জায়গা হিসাবেও ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরছে এই পাহাড়ি গ্রাম। তাই আর দেরি কেন! রাতের অন্ধকারে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপার মহিমাকে চাক্ষুষ করতে কয়েকটা দিনের জন্য বেরিয়ে পরুন সিকিমের ছোট্ট গ্রাম কিউজিংয়ের উদ্দেশ্যে।